কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের সংঘর্ষে ইউপি সদস্য নিহত

0
58

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মামুনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া ওই গ্রামে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে উপজেলার আসাননগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও দ্ব›েদ্বর জেরে দুই গ্রæপের সংঘর্ষের সময় হতা হতের ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য হাবিল মেম্বরের ছেলে।

ঘটনাস্থলে থাকা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) রাকিবুল হাসান জানান, ওই গ্রামে ওহাব-গোলাপ গ্রæপের সঙ্গে ইউপি সদস্য মামুন-ইয়াহিয়া গ্রæপের দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ লেগেই থাকতো।

গত ১৯ আগস্ট বিকালে দুই গ্রুপের সাথে মারামারির ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয় এবং একজনকে ঢাকায় রেফার্ড করে চিকিৎসক। এরই জের ধরে শুক্রবার সকাল থেকে দুই গ্রুপ আবারো সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে শনিবার প্রতিপক্ষের লোকজন ইউপি সদস্য মামুনের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার পায়ে ও কোমড়ে ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এছাড়াও ১০ থেকে ১২জনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়নের মানববন্ধন-সমাবেশ

ওসি তদন্ত রাকিবুল হাসান আরও জানান, সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই গ্রুপ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। পুলিশের সাথে পরে সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে আসে। গ্রামের সবাই হামলা ও লুটপাটের ভয়ে গ্রাম ছাড়ছে। এখনো উত্তেজনা চলছে।

গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান বলেন, এটা কোন রাজনৈতিক ইস্যু না। দুই গ্রুপের মধ্যে সব দলের লোকজন আছে। তিনি জানান, ওই গ্রামের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দ্ব›দ্ব অনেক আগে থেকেই চলছে। এরই জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আমার পরিষদের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।