কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় তিন নারী শ্রমিকসহ চার জন নিহত

0
120

দৌলতপুরে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় বিড়ি ফ্যাক্টরির তিন নারী শ্রমিকসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কে সদর উপজেলার বটতৈল দণিপাড়া এলাকায় মন্ডল হোটেলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিনজন বিড়ি তৈরীর কারখানার নারী শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইদ্রিস আলী নিহতদের নাম নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার স্বস্তিপুর এলাকার আজিজুল হকের স্ত্রী বিড়ি তৈরীর কারখানার জেসমিন (৩০), আলামপুর হালদারপাড়ার এলাকার ভাদু মোল্লার মেয়ে রোজিনা খাতুন (২৭) এবং হালদারপাড়ার মনোরঞ্জনের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৪৫), একই এলাকার হজেল হোসেনের ছেলে ভ্যানচালক মুক্তার হোসেন (৫০)।

এ দুর্ঘটনায় অপর আহত বিড়ি ফ্যাক্টরীর নারী শ্রমিক সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামের শরিফুলের স্ত্রী তহমিনা খাতুনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির আলম জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল দণিপাড়া এলাকায় মন্ডল হোটেলের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কে ঝিনাইদহগামী দ্রæতগাতির একটি ড্রাম ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী পাখি ভ্যানকে সামনাসামনি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।

হাইওয়ে পুলিশের ওসি ইদ্রিস আলী জানান, কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঝিনাইদহগামী দ্রæতগাতির একটি ড্রাম ট্রাক একটি যাত্রীবাহী পাখি ভ্যানকে সামনা সামনি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন। ড্রাম ট্রাকের চালক পলাতক। তবে ঘাটক ট্রাকটি পুলিশ আটক করেছে। মৃতদেহ চারটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

দৌলতপুরে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রবিবার রাতে জেলার দৌলতপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। ক্ষুদ্ধ জনতা ঘাতক ট্রাকটি পুড়িয়ে দিয়েছে।

রবিবার দিনগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকায় তারাগুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন ফারুক চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হন উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কৈপাল গ্রামের হযরত আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (৩০) ও একই গ্রামের খেড় মালিথার ছেলে রাজন আহমেদ (৩৫)। তারা একই মোটরসাইকেলে উপজেলার হোসেনাবাদ থেকে তারাগুনিয়ায় যাচ্ছিলেন। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতা ঘাতক ট্রাকটি পুড়িয়ে দেয়। জনতার দেয়া আগুনে কয়েকজন পথচারী দগ্ধ হয়েছেন।

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ট্রাকের চালক পলাতক। তাকে ধরতে চেষ্টা চলছে।