কুষ্টিয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে জুতা পেটা করা সেই দুই নারী আটক

0
66

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া শহরে দায়িত্বরত অবস্থায় নাজমুল ইসলাম নামের এক ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জরিত সেই দুই নারীকে অবশেষে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে কুষ্টিয়া শহরের নিজ নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত ওই দুই নারীকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ আটক করে। আটক দুই নারী হচ্ছেন কুষ্টিয়া পৌর এলাকার আবু হানিফ লেনের আশরাফুল ইসলাম মতিনের স্ত্রী সোহানা ইসলাম রোজা এবং হাউজিং ডি-বøক এলাকার রিপন আলীর স্ত্রী সানজিদা আক্তার শান্তা।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান শিহাব অভিযুক্ত দুই নারীকে আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমের কাছে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে কোর্ট স্টেশন মসজিদের সামনের মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল নাজমুল ইসলাম। তখন স্টেশনে ট্রেনের সিগন্যাল পড়ে। ওই দুই নারী একটি বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় সড়কে অতিরিক্ত যানজট থাকায় রিকশায় থাকা দুই নারীর রিকশা আটকে দেন ট্রাফিক পুলিশের ওই কনস্টেবল। তবে তারা ট্রেনের সিগন্যাল উপেক্ষা করে জোরপূর্বক যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ কনস্টেবল। সেখান থেকেই তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই দুই নারী চরম উত্তেজিত হয়ে ওই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে পায়ের স্যান্ডেল খুলে মারপিট করেন। মারধরের ওই ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। ঘটনাটি জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।

স্থানীয় একটি ফার্মেসির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, নাজমুল হোসেন (৪৮) নামের ওই ট্রাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় একজন নারী তড়িঘড়ি করে এসে আচমকা তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন। কয়েক সেকেন্ড পর আরও একজন নারী এসে যোগ হন এবং তিনিও ওই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে দুই নারী তাদের স্যান্ডেল খুলে নাজমুলকে পেটাতে থাকেন। স্থানীয়রা ছুটে এসে দুই নারীকে থামতে বলেন এবং ট্রাফিক পুলিশকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন।

আরও পড়ুন – খোকসায় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালিত

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিহাবুর রহমান শিহাব জানান, এঘটনায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে ওই দুই নারীকে আটক করা হয়েছে এবং দুজনের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন –স্কুলে ভর্তির লটারির নতুন তারিখ ১৭ ডিসেম্বর

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) রমা. মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি জানার পর সাথে সাথে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।