কুষ্টিয়ায় যুবদল নেতার দম্ভোক্তি: আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে সদর থানা ভেঙেছি

0
62

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগষ্ট কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙার কথা স্বীকার করেছেন জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ। এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তার নেতৃত্বে থানা ভাঙার স্বীকারোক্তি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি নিজেই। বক্তব্যের সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বুধবার (৭ আগস্ট) বিকালে সদর উপজেলার খাজানগর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাঁদাবাজি রোধে চালকল মালিক ও স্থানীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এই বক্তৃতা দেন।

চার মিনিটের বক্তৃতার ওই ভিডিওতে মাজেদ বলেন, শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই শেখ হাসিনার সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে। কুষ্টিয়ায় শেষের দিন যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়, এখানে আন্দোলনকারীরা আছে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভেঙেছি।

তিনি বলেন, আমার তিনটা ছেলে আমার পরিবার, আপনাদেরই ভাই আপনাদেরই চাচি। সে নিজেও এই আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হয়েছে। আপনারা আপনাদের ছেলে পেলেদের মেরেও ঠেকাতে পারেন নাই। তিনি আরো বলেন, রক্তে যখন টান দেয়, তখন জনগণের ¯্রােত ঠেকানো যায় না। তাই জনগণের ¯্রােতে হাসিনা চলে গেছে।

যুবদল নেতা মাজেদ বলেন, আমি আপনাদের বলবো আপনারা এমন কিছু করবেন না যাতে কুষ্টিয়ায় আমাদের দমবন্ধ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী না। জনগণ ভোট না দিলে বিএনপি সরকার গঠন করতে পারবে না। কিন্তু আমাদের দমযেন বন্ধ না হয়। হানিফ, আতা এবং খুনি হাসিনার মতো যেন পালাতে না হয়।

সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর কুষ্টিয়া মডেল থানায় চলে ব্যাপক ভাঙচুর। অস্ত্র ও জিনিসপত্র লুটপাট ছাড়াও থানায় অগ্নি সংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় ৯ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৮ থেকে ১০ হাজার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আব্দুল আলিম। যার মামলা নম্বর ৭। এজাহারে থানায় হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন – ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতিতে উদ্বিগ্ন না, তবে অবাক হয়েছেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

তবে ঘটনার এক মাস পার হলেও এই মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী।

বক্তৃতার বিষয়ে জানার জন্য জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদের মুঠোফোনে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন বলেন, এই ধরনের বক্তব্য যদি তিনি দিয়ে থাকেন তাহলে ঠিক করেননি।