স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়া জেলার ৬ উপজেলায় ২৫৮টি মন্ডপে সনাতন ধর্মাবলীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সব আয়োজন সম্পন্ন। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার বাঁকী।
জেলা পূজা উৎদযাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য মতে, এবছর কুষ্টিয়া জেলায় ২শ ৫৮টি মন্ডপে দূর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে আলোকশর্যা ও মন্দির ডেকরেশনের কাজ। এ বছর কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৮৩টি, খোকসা উপজেলায় ৬৪টি, কুমারখালী উপজেলায় ৬০টি, মিরপুর উপজেলায় ২৬টি, দৌলতপুর উপজেলায় ১৪টি এবং ভেড়ামারা উপজেলায় ১১টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর জেলায় ২শ ৪৯টি পূজা মন্ডবে দূর্গাপূজা উদযাপন করা হয়েছিল।
জেলার খোকসা কালী বাড়ি দূর্গাপূজা কমিটি আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে জেলার সব থেকে ব্যয় বহুল পূজা। পৃথক দুটি মন্ডপে থাকছে পৃথক দূর্গা প্রতিমা। এ ছাড়া মন্দির এলাকায় ৫১ খন্ড পৃথক মূর্তি থাকবে। উৎসবকে বর্ণিল করতে বিশাল মন্দির ও আশেপাশের সড়কে ব্যাপক আলোকশর্যা করা হয়েছে।
প্রতিমা শিল্পী সাধন কুমার পাল জানান, জেলার অধিকাংশ মন্ডপে ইতিমধ্যে প্র্তিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুধু কিছু মন্ডপে রং তুলির কাজ ছোট ছোট কিছু কাজ বাঁকি রয়েছে। সেগুলো দুই-তিন দিনের মধ্যে হয়ে যাবে।
পূরোহীত তরুন কুমার চক্রবর্তী জানান, আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে শারদীয় দূর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। মা দুর্গা সবার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। আমরা পূজার সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করছি।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কুমার বিশ্বাস জানান, এবছর জেলায় ২৫৮টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রায় মন্দিরে প্রস্ততি নেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা স্বেচ্ছাসেবক রাখার ব্যবস্থা করেছি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এ এইচ এম আবদুর রকিব জানান, শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে মন্ডপ গুলোতে আনসার বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সেই সাথে টহল টিমও কাজ করবে। যে কোন অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশে কঠোরভাবে সতর্ক রয়েছে।