কোটচাঁদপুরে ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট থেকে গ্রাহকের টাকা গায়েব

0
114
প্রতিকী ছবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়ার এজেণ্ট ব্যাংকের আউটলেট থেকে প্রবাসি’ গ্রাহকের প্রায় ৬৩ লাখ টাকা গায়েব হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তে নেমেছে ব্যাংক এশিয়া।

কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান রোকন অভিযোগ করেন, তিনি গত ২০ বছর ধরে কুয়েতে ছিলেন। ২০১৯ সালে তিনি দেশে এসে কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়া এজেণ্ট ব্যাংকে একটি সঞ্চায়ী হিসাব খুলে লেনদেন করতে থাকেন। এ সময় এজেণ্ট ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মÐলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২ মার্চ ব্যাংক এশিয়ার এজেণ্ট আউটলেটে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকার পৃথক দুইটি মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলেন। এ দুটি হিসাবের মেয়াদ পূর্তির তারিখ ছিল ২০২৩ সালের ১৫ ফেব্রæয়ারি। এ সময় বলা হয়েছিল প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবে ব্যাংক। সে অনুযায়ী একাউণ্ট গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা। অথচ প্রবাসী রোকন ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গেলে তিনি জানতে পারেন প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার সমুদয় টাকা তিনটি একাউণ্ট থেকে গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভ‚ক্তভোগী রোকনুজ্জামান রোকন ইতি মধ্যে এজেণ্ট ব্যাংকিং ডিভিশন, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ঢাকা, ব্যাংক এশিয়া ঝিনাইদহ শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল করেন।

রোকনুজ্জামান জানান, দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে খুব কষ্ট করে এই টাকা জমিয়েছিলেন। বিশ্বাস করে এতো টাকা ব্যাংকে আমানত রেখেছিলাম। এখন টাকা হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছি।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক একাধীক ব্যাংক কর্মকর্তারা বলেন, হিসাব খোলার শুরুতেই টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে আঙ্গুলের ছাপ জ্বালিয়াতি করা হয়েছে। যে কারণে পূর্বে আউটলেটের দায়িত্বে থাকা মনিরুল ইসলাম ও তার ভাই ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ সদস্য রাজিবুল কবির রাজিবকে এই জালিয়াতির দায় নিতে হবে।

এ বিষয়ে কোটচাঁদপুরের এলাঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান বলেন, টাকা জালিয়াতির বিষয়টি রাজিব স্বীকার করে টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলেছিলো। অথচ এখন সে বলছে টাকা আমি দিতে পারবো না। পারলে ব্যাংক আমার বিরুদ্ধে মামলা করে টাকা আদায় করে নিক।

কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়ার আউটলেটের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, ২০২১ সালে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আমার ভাই রাজিবুল কবির রাজিবকে দায়িত্ব দিয়ে এসিছিলাম। এখন যদি আউটলেটে কোন অপকর্ম হয়ে থাকে, সে দায় তার ভাই রাজিবের।

রাজিব জানান, টাকা ফেরৎ দেবার জন্য সময়ের প্রয়োজন। সময় হলেই তিনি টাকা গ্রাহককে বুঝিয়ে দিবেন।

ব্যাংক এশিয়ার ঝিনাইদহ শাখার ম্যানেজার সাইফুর রহমান বলেন, গ্রাহক রোকনুজ্জামান রোকনের আবেদন আমরা পেয়েছি। আমাদের হেড অফিসে কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেছেন। জালিয়াতির বিষয়টি আমাদের কাছে পরিস্কার। টাকা উদ্ধারের পদপে নিচ্ছে হেড অফিস।