দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
খুলনায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার দাবিতে ডাকা সমাবেশ পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জে মুখে পন্ড হয়ে গেছে।
এ সময় বিএনপি কর্মদের ছোড়া ইটপাটকেল নিপে ও পুলিশের লাঠিচার্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি , সাবেক সিটি মেয়রসহ অন্তত ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার দাবিতে সোমবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ আহ্বান করে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি। সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই দলীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ।
বেলা ১২টার দিকে নগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছে সমাবেশ শুরুর চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশে তাতে বাধা দেয় এবং মাইক কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। বিএনপির সিনিয়র নেতারা পুলিশের সঙ্গে বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এক পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা নেতাদের ওপর আচমকা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। বেদম পিটুনিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাবেক সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শেখ মুশাররফ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শামসুজ্জামান চঞ্চলসহ অন্তত ৪৫ জন আহত হন।
পাল্টাপাল্টি এ হামলায় দৈনিক জন্মভূমির ফটো সাংবাদিক দেবব্রত রায়, সময় টেলিভিশনের আবদুল হালিম, যমুনা টেলিভিশনের আমির সোহেল, প্রথম আলোর সাদ্দম হোসেন ও এসএ টিভির মোহাম্মদ ইব্রাহিম আহত হন।
সংঘর্ষের জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
এ ব্যাপারে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা বলেন, ‘তাদের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে সমাবেশ করার অনুমতি ছিল না। তারা রাস্তায় এসে বিােভ কর্মসূচি করেছে। এটার তো কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।