পরিবারের দাবি পাওনা টাকার জন্য হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খেকসায় এক স্বামী পরিতক্তা নারীর বাড়ির উঠান থেকে মোস্তফা মোল্লা (৪৮) নামের ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার ভোরে উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর দশকাহুনিয়া গ্রামের স্বামী পরিতক্তা অলোকা রানী বিশ্বাস নামের এক নারীর বাড়ির উঠান থেকে ব্যাবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পর থেকে আলোকা আত্মগোপনে ছিল। একই গ্রামে তার জামাতা অপু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে ওই নারী ও তার পুর্নিমা বিশ্বাসাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
নিহত ব্যবসায়ী মোস্তফা মোল্লা পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড উত্তর কেসমত মাজাইলের ফিরোজ মোল্লার ছেলে। তিনি ইট ও কাঠের ব্যবসায়ী ছিলেন।
গ্রামবাসীরা জানায়, শনিবার রাতে চর দশকাহুনিয়া গ্রামের নতুন বসতি অলোকা রানী বিশ্বাসের সদ্য নির্মিত বাড়িতে ওঠা উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিল। ভোরের আলো ফোটার আগেই ওই বাড়ি থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসতে থাকে। কিছুক্ষন পরে ব্যবসাীয় মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পরে। পরে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধোর করে। একই সাথে স্বামী পরীতক্তা অলোকা ও তার মেয়ে পুর্নিমাকে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের বাবা বৃদ্ধ ফিরোজ মোল্লা জানান, তার ছেলের সাথে ব্যবসায়ীক কারণে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ব্যবসায়ীক বিরোধ রয়েছে। ইতোমধ্যে তার কাছেও ওই ক্ষমতাধরেরা কয়েক দফায় মোস্তাফা ও তার বড় ছেলে আমিরুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়েছে। তিনি মামলার প্রয়োজনে প্রভাবশালীদের নাম বলতে রাজি হননি। ওই প্রভাবশালীরা তার ছেলে ব্যবসায়ী মোস্তফা মোল্লাকে শ্বাষ রোধ করে হত্যা করে করেছে। পুলিশ হত্যার আলামত উদ্ধার করেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
মৃত মোস্তফা মোল্লার দ্বিতীয় পুত্র গাড়ি চালক তানজিব মোল্লা বলেন, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। মহিলা বাড়ি করার সময় তার বাবার কাছ থেকে বাঁকিতে ইট কাঠ নিয়েছিল। সে টাকা নিয়ে তাদের গ্রামের প্রভাবশালীরা হুমকী ধামকী দিয়ে আসছিল। শনিবার সন্ধায় তারাই (প্রভাবশালীদের নেতা) তার বাবাকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ফোনে ডেকে নেন। তার পর থেকে তার বাবার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গভীর রাতে বাড়িতে ফোন দিয়ে জানান, তাকে অনেক দূরে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে হয়তো আর জীবিত পাওয়া যাবে না। ভোরে আলো ফোটার আগেই তারা তার বাবার মৃতদেহ পরে থাকার খবর পান।
ঘটনা স্থলে উপস্থিত পুলিশের এসআই আকরাম জানান, তারা বাড়ির মালিককে পাননি। তার নামও উদ্ধার করতে পারেনি। তবে আত্মগোপনে থাকা ওই নারী ও তার মেয়েকে পুলিশের অপর একটি দল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত ব্যবসায়ীর পরিবার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অলোকা ও তার মেয়ে পুর্নিমা বিশ্বাস কে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য থানায় আনার কথা স্বীকার করেন। তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলেও জানান। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।