খোকসায় সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মান শ্রমিক নিহত

0
132

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় কাজে যাবার পথে স্যালোইঞ্জিন চালিত বাটাহাম্বার গাড়ির সাথে মোটর সাইকেলের মুখমুখি সংঘর্ষে নির্মান শ্রমিক জনি (৩০) এর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা জিকে সড়কে বাটাহাম্বার গাড়ি বন্ধের দাবিতে সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জিকে সড়কের রমানথপুর গ্রামের মধ্যে স্যালোইঞ্জিন চালিত বাটাহাম্বার গাড়ির সাথে মোটর সাইকের মুখমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নির্মান শ্রমিক জনি (৩০) মারা যায়। পরে স্থানীয়রা নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। নিহত শ্রমিক রমানাথপুর মোল্লাপাড়ার টিপু’র ছেলে। সে এক সন্তানের জনক।

এ ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ জনতা গনেষপুরে মিজু-আরাফা ব্রিকসে হানা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ঘাতক বাটাহাম্বার গাড়িটি আটক করে। বিক্ষুদ্ধরা স্যালোইঞ্জিন চালিত বাটাহাম্বার গাড়ি বন্ধরে দাবিতে গঙ্গাকপতাক্ষ সেচ প্রকল্প (জিকে) সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবেরোধ করে শ্লোগান দিতে থাকে। প্রায় ৩০ মিনিট পর পুলিশ তাদের শান্ত করে।

প্রত্যক্ষদর্শী আমির খসরু জানান, স্থানীয় ইটভাটার মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত বাটাহাম্বারটি দ্রæত গতিতে এসে মোটরসাইকেলটির সামনে আঘাত করে। আবার মুহুত্যের মধ্যে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামবাসী ইট ভাটায় হানা দিয়ে গাড়িটি আটক করে। তিনি চালকের অদক্ষতরা আর খাম খেয়ালিকে দায়ি করেন। তিনি আরো জানান, এই জাতীয় গাড়ির চাপায় ৪১দিন আগে একই গ্রামের রাশিদা (৩০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের পিতা টিপু জানান, সকালে গ্রামের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘর তৈরীর কাজের জন্য জনি নেজের মোটর সাইকেল নিয়ে বেড় হয়। কিন্তু বাড়ি থেকে ৫শ গজ দূরে তার ছেলেকে ঘাতক বাটাহাম্বার সামনে থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি ঘাতক বাটাহাম্বারের চালক ও অবৈধ গাড়ির মালিকের শাস্তি দাবি করেন।

মিজু-আরাফা ব্রিকসের মালিক মোস্তফা আহম্মেদ জানান, দুর্ঘটনার পর কিছুলোক তার ভাটায় হামলা চালিয়ে সিসি ক্যামেরাসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। তিনি এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছেন।

ঘটনা স্থলে উপস্থিত পুলিশের এএসআই আজিজ বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। সড়কে যে কাঠ ফেলা হয়েছিল সেগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাসীকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে।