স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঈদুল ফিতরের আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহন করেনি বললেই চলে। স্থানীয় নেতাদের অধিকাংশ রয়েছেন আত্মগোপনে। জেল থেকে বেড়িয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন নেতা নিরব হয়েগেছেন।
৫ আগস্টে দীর্ঘ ত্রাসের রাজত্বের অবসানের পর আওয়ামী লীগের উপজেলা পর্যায়ের প্রধান নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। খোকসা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রায় ১ ডজন নেতাকর্মী বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় আটক হয়েছেন। কেউ কেউ আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরলেও তারা বাড়ি বা নিজের গন্ডির বাইরে বের হচ্ছেন না।
আওয়ামী লীগের দলীয় পদ, কর্মী ও ভোটার ধরে রাখতে উপজেলা পর্যায়ের নেতারা ঈদ পূজা পার্বণে ঘটা করে কাপড় টাকা চাল সেমাই চিনি বিতরণ করতেন। কিন্তু এবার ওইসব নেতারা এলাকা নেই। অনেক নেতা জনরোশের ভয়ে রয়েছেন।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত অনেক আগেই আত্মগোপন করেছেন। তবে পারিবারিক ঐতিহ্য ধরে তার মা বেগম মজিদ তার পুত্রদের সহয়তায় প্রায় সহ¯্রাধিক দুস্থ্যদের সাড়ি ও লুঙ্গি উপহার দিয়েছেন।
জেলা আওযামী লীগের সভপতি সদর উদ্দিন খান দল ক্ষমতা হারা হওয়ার পর আত্মগোপনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন – খোকসার বিএনপির নেতারা কে কোথায় ঈদ জামাত পড়লেন
উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, সাড়ে ১৫ বছরের নেতারা আধিপত্ব বিস্তারের যুদ্ধ করেছেন। ফলে সাধারণ মানুষের সাথে দল ও নেতাদের দূরত্ব বেড়েছে। এখন সাধারন মানুষের সাথে মিসতে তারা ভয় পাচ্ছে। হাজত ফেতরাও কারো সাথে মিসছে না। মুলত এইসব নেতারা নিজের দলীয় পরিচয় মুছতে চেষ্টা করছে।