খোকসার নারী ইউপি সদস্য নিরাপত্তাহীনতায়

0
118

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায়া একটি বেড়ি বাঁধের সরকারী গাছ কাটায় বাঁধা দিয়ে সংরক্ষিত আসনের এক নারী মেম্বর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলা বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মুছার নেতৃত্বে শ্রমিকরা গড়াই নদীর বেড়ি বাঁধের গা থেকে বড় বড় মেহগনি গাছ কটতে শুরু করে। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়নয় পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য (মেম্বর) রোমেলা খাতুন গাছ কাটায় বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছালে গাছ কাটার সাথে জড়িত মুছাসহ অন্যরা গা ঢাকা দেয়। কিন্তু ততক্ষনে দুটি মেহগনি গাছ কেটে ফেলে শ্রমিকরা। বাঁকী ৫টি গাছের আংশিক গোড়া কেটে ফেলা হয়েছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য রোমেলা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, মুছা ও তার দোষরা সরকারী বেড়ি বাঁধের গায়ের ৯টি মেহগনি ও একটি আম গাছ প্রায় এক লাখ টাকায় বিক্রি করে। প্রথমে তাকে ম্যানেজ করার জন্য টাকা অপরার করা হয়। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় মুছা এলাকার প্রভাবশালীদের সাথে জোট করে সকালে গাছ কাটা শুরু করে। এ সময় তিনি বাধা দেন। এক পর্যায়ে প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করেন। এ ঘটনার পর থেকে গাছ খোড়দের পক্ষের লোকেরা তার বাড়িতে এসে হুকমী ধামকী দিয়ে গেছে। ক্ষতি পুরণ না করলে নারী মেম্বরকে শিক্ষা দেওয়া হবে বলেও শাসিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় তিনি চিন্তিত। তিনি প্রশাসনের সহায়তা দাবি করেন।

গ্রামে পুলিশ আসার পর থেকে আত্মগোপনে থাকা মুছার সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে যাওয়া হয়। তকে পাওয়া যায়নি। তবে কথা বলেন তার ছোট ভাই তোতা’র স্ত্রী আন্না খাতুনের সাথে। তিনি দাবি করেন জমি ও গাছ দু’ই তাদের। মহিলা মেম্বর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তাদের প্রায় ১০ কাঠা জমি দখল করে নিয়েছে। আগেও গ্রামে শালিস করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছে। তিনি ওই নারী মেম্বরের বিচারের দাবি করেন।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুটি কাটা গাছের গুড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় মেম্বরের জিম্মায় রাখা হয়েছে। কেউ অভিযোগ দেয়নি। মামলাও হয়নি।