খোকসায় আওয়ামী লীগের ১৪ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিস্কারের সুপারিশ

0
145
সংগৃহীত ছবি

স্টাফ রিপোটার

কুষ্টিয়ার খোকসায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ১৪ প্রার্থীসহ ১৬ নেতাকে বহিস্কারের সুপারিশ করেছে উপজেলা কমিটি।

এ খবর নিশ্চিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর সভার মেয়র তারিকুল ইসলাম তারিক। তিনি আরো জানান, বহিস্কারের সুপারিশকৃতরা সবাই উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃত্বে রয়েছেন। বহিস্কার বা শাস্তিমুলক ব্যবস্থার দায়িত্ব এখন জেলা আওয়ামী লীগের।

দলীয় সূত্র জানায়, ২৬ ডিসেম্বর এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। জেলা কমিটির সুপারিশক্রমে উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রতিটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে একাধিক দলীয় নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তারাও প্রচার প্রচারণায় মাতিয়ে তুলে। মাঠ পর্যায়ের নেতা কর্মী দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে নৌকা প্রতীকের একাধিক প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সাথে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রস্তাবকসহ ১৬ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম জানান, দলীয় গ্রার্থীদের অভিযোগ ও স্থানীয় ভাবে পর্যবেক্ষনের ভিত্তিতে খোকসা ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আইয়ুব আলী বিশ্বাস, সাবেক সহসভাপতি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ও এ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসদুজ্জামান মকুল। জানিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান ও সদস্য নজরুল ইসলাম। শিমুলিয়া ইউনিয়নের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল কুদ্দুস, উপজেলা যুবলীগের সদস্য শোমসপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মুকুল। জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুস শকীব খাঁন টিপু ও আরিফুল ইসলাম নয়ন। গোপগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ফারুক, আমবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রহমান খান, নাজমুস সালেহিন এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আকমল হোসেন। এ ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থক ও প্রস্তাবকারী হওয়ায় জানিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সন্তোষ কুমার ঘোষকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়। অত্যন্ত গোপনীতার সাথে ১১ ডিসেম্বর সুপারিশটি জেলা কমিটির কাছে প্রেরণ করা হয়।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক শোমসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মকুল বলেন, তিনি ১৯৯৪ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। কিন্ত গত ২০০৩ সালের পর থেকে তাকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা অন্য কোন সহযোগী সংগঠনের সদস্যপদ দেওয়া হয়নি। ভুল তথ্যের ভিত্তিতে তাকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।