স্টাফ রিপোর্টার
খোকসার রতনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে কমপক্ষে ৫ টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই জনকে আটকও করা হয়েছে।
গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খোকসা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে বিশ্বাসদের গোষ্ঠি বিরোধ র্দীঘ দিনের। আদের অধিকাংশই আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সাথে জড়িত। সম্প্রতি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গ্রামটিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মীসমর্থকদের মধ্যে বিবাদ মাথাচারা দিয়ে ওঠে।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমানের উপর হামলার গুজর ছড়িয়ে পরে। এ সময় মেম্বরের সমর্থকরা প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুয়েল, খালিদ ও নূর ইসলামের বাড়িসহ ৫টি বাড়ি ভাংচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার খবর পেয়ে খোকসা থানা পুলিশ রতনপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাচ্চু ও সাদ্দামকে আট করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খালিদে বিশ্বাসের স্ত্রী জানান, বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ নারী পুরুষ একযোগে এসব বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা কারীরা তার বাড়ি থেকে এক লাখ নগদ টাকা ও সোনার গহনা লুট করে নিয়ে গেছে। একই অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জুয়েল। তিনি জানান, জিল্লু মেম্বর সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বিধাবিভক্ত একটি অংশের সাথে যোগ দিয়েছেন। এখন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে পরিকল্পিত ভাবে গ্রামের সব শ্রেণির মানুষের উপর হামলা করছে।

আওয়ামী লীগের একাংশের নেতা স্থানীয় ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, প্রতিপক্ষরা গ্রামের সাধারন মানুষের উপর নির্যাতন করে আসছে। এর প্রতিবাদ করায় আজ শুক্রবার সকালে পতিপক্ষ তার উপর হামলার ঘোষনা দেয়। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল ও বিএনপি নেতা খালিদ নিজেদের বাড়ির বেড়া ও কিছু চেয়ার ভেঙ্গে তার লোকদের উপর দোষ দিচ্ছে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলম বলেন, অভিযোগ হয়েছে, মামলা হয়নি। এলাকায় কী ঘটেছিল সে বিষয়ে জানার জন্য দু’জনকে থানা আনা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।