স্টাফ রিপোর্টার
খোকসায় নতুন করে আরো দুই জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪ জনে।
শুক্রবার একই পরিবারের আরো তিন জনসহ ছয় জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার একই পরিবারের ৩ জন ছাড়াও ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ ফেরৎ আক্রান্ত দুই ব্যক্তির স্ত্রী রয়েছেন। শুক্রবার শনাক্তদের মধ্যে ৪ জনের বয়স ৩০- ৪০ বছর ও ২ জনের বয়স ৪০-৫০ বছরের মধ্যে। আজকে নতুন শনাক্ত ২ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে শুক্রবার মোট ১৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলার ৪৪ টি নমুনা ছিল। পরীক্ষায় ৬ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন জানান, গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদহ হাজীপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের করোনা শনাক্ত হয়। বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের আরো চার জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবের প্রাপ্ত রিপোর্টে আক্রান্ত রবিউল ইসলামের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪৫), ছেলে আব্দুর রহমান (৩০) ও আব্দুর রহমানের বোন বিনা (৪০) করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে আব্দুর রহমানের মেয়ের করোনা নেগেটিভ এসেছে।
খোকসায় ঢাকা ফেরৎ আক্রান্ত স্বামীর সংষ্পর্শে এসে স্ত্রী আকলিমা খাতুন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। খোকসা পৌর এলাকার থানা পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় আকলিমা খাতুন তাদের দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করেন। ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বামী আজিম উদ্দিন করোনা উপসর্গ নিয়ে ঈদের আগের দিন খোকসার বাসায় আসেন। এসে তিনি সবার সাথে ঈদের নামাজও আদায় করেন। গত ২ জুন কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। তার সংস্পর্শে এসে স্ত্রী আকলিমা খাতুন আক্রান্ত হলেন। তবে পরীক্ষায় তাদের দুই ছেলের করোনা নেগেটিভ এসেছে। উপজেলা অপর আক্রান্ত ব্যক্তি গোপগ্রাম ইউনিয়নের আমলাবাড়িয়া গ্রামের গার্মেন্টস শ্রমিক জাকির হোসেন (৩০)। করোনা উপসর্গ নিয়ে ঈদের আগে নারায়নগঞ্জ থেকে তিনি গ্রামে আসেন।
এছাড়াও দৌলতপুর উপজেলার চক দৌলতপুর গ্রামে ঢাকা ফেরৎ স্বপনের স্ত্রী খোদেজার (৩২) করোনা শনাক্ত হয়েছে। স্বপন ঈদে ঢাকা থেকে দৌলতপুরে আসেন। গত সপ্তাহে তার করোনা শনাক্ত হয়।
এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় বহিরাগত বাদে অদ্যাবধি ১০৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হল। এর মধ্যে দৌলতপুর উপজেলায় ২৪, ভেড়ামারায় ১৫, মিরপুরে ১২, কুষ্টিয়া সদরে ৩১, কুমারখালী ১৬ এবং খোকসা উপজেলাতে ৭ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৭৮ জন এবং নারী ২৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭৪ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩ জন রোগী।