স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় খোকসায় মাত্র দশ মিনিটের ব্যবধানে একই ব্যক্তিকে দুইবার করোনা টিকা দিয়েছেন এক স্টাফ নার্স।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিন প্রায় এ কেন্দ্রে তিন টি বুথ থেকে প্রায় ৩৪০ জনকে করোনা টিকা দেয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের বুজরুখ মির্জাপুর গ্রামের বাশারুজ্জামান ( ৩৮) বৃহস্পতিবার দুপুরে টিকার কার্ড নিয়ে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত কক্ষে টিকা নেয়ার জন্য যান। এ সময় কর্তব্যরত নার্স শারমিন তাকে টিকা দেন। এর ১০ মিনিট পর তিনি আবার ওই কক্ষে গেলে ওই একই নার্স শারমিন তাকে দ্বিতীয় দফায় টিকা দিয়ে দেন।
ঘটনার পর দুইবার টিকা নেওয়া বাশারুজ্জামান ও সিনিয়র নার্স শারমিন ভুলের সমাধানের জন্য উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে অভয় দেওয়ার পর ভুক্তভোগী ফিরে যায়। রাতে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত ভুলবসত দুইবার করোনা টিকা নেওয়া বাশারুজ্জামান ভালো আছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পবিরার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।
বাশারুজ্জামান জানান, তিনি কাগজ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত নার্স তাকে প্রথমবার টিকা দেন। না বুঝে দশ মিনিট পর আবার লাইনে দাঁড়ালে নার্স তাকে আবারো দ্বিতীয় দফায় টিকা দিয়ে দেন। পরে রেজিষ্টার বইতে টিকা গ্রহীতার নাম তোলার সময় বিষয়টি নার্সের নজরে আসে। দুইবার টিকা নেওয়া বাশারুজ্জামানকে নিয়ে শুরু হয় দৌড় ঝাপ। তখন বিষয়টি সবার নজরে আসে।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান বলেন, এটা একটা ভুল। বাশারুজ্জামান একবার টিকা নিয়েছেন কিন্তু নার্সদের জানাননি। এর জন্য তিনিই দায়ী। তবে দুইবার টিকা দেওয়া হলেও তার কোন সমস্যা হবে না বলে তিনি করেন। তবে স্থানীয়দের অনেকেই এ ঘটনার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত দেরকেই দায়ী করেছেন। এই কর্মকর্তা দাবি করেন, টিকা গ্রহনকারীদের চাপ চরম। দ্বিতীয় দফায় টিকা শুরুর পর থেকে প্রায় ৪২শ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছ।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোযয়ারুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনাটি ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের এ ঘটনার দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বিষয় টি জানার সাথে সাথে তিনি সংশ্লিষ্টদের মৌখিকভাবে কড়া সতর্ক করেছেন বলেও জানান।