খোকসায় ক্ষেতের ফসল চুরি ঠেকাতে কৃষকরা পাহারা দিচ্ছে

0
173
জমিতে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া পেঁয়াজের গাছ দেখছেন কৃষক আকরাম হোসেন।

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় রাতের আধারে ক্ষেতের (জমির) উঠতি চৈতালী ফসল পেঁয়াজ রসুন চুরি ব্যাপক আকারে বৃদ্ধিতে পেয়েছে। আতঙ্কিত কৃষকরা জমির ফসল রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছে।

উপজেলার চৈতালী ফসল পেয়াজ রসুনের আবাদ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগে তথ্যমতে এ উপজেলায় প্রায় ২৭৫০ একর জমিতে চারা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ মাত্রার কয়েক গুন বেশী।

উপজেলা শিমুলিয়া, জয়ন্তী হাজরা, শোমসপুর, জানিপুর ও ওসমানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের জমি থেকে উঠতি পেঁয়াজ রসুন চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক ফসল রক্ষায় রাত জেগে পাহারা দিতে শুরু করেছেন। শিমুলিয়া ও জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, চোর চক্র শক্তিশালী হওয়ায় তারা থানা পুলিশে অভিযোগ দিতে সাহস পাচ্ছেন না।

শনিবার দুপুরে ঝালুকাদহ ডাঙ্গীপাড়া ও পাথালদৌড় গ্রমের সোইবাদার বিলসহ একাধিক বিল ও মাঠে সরেজমিন গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলা হয়। শুধু সোইবাদার বিলে প্রায় ২শ একর জমিতে পেঁয়াজ রসুন আবাদ হয়েছে। এই মাঠ থেকে রাতের আধারে কৃষকের পেঁয়াজ তুলে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। তাই অনেক কৃষক পেঁয়াজ রসুন পরিপক্ক হওয়ার আগে জমি থেকে তুলে নিতে শুরু করেছে।

স্থানীয় কৃষক আকরাম হোসেন জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তিনি ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলবেন। কিন্তু বুধবার রাতের আঁধারে তার একটি জমি থেকে প্রায় ১৫ মন পেঁয়াজ তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চোর চক্র প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি থানায় জাননি। একই মাঠ থেকে ফরহাদ নামের অপর এক কৃষকের জমি থেকে প্রায় ২০মন পেঁয়াজ তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

পাথালদৌড় মাঠের কৃষক সাহেব আলী জানান, সম্প্রতি এক রাতে দুর্বৃত্তরা তার জমি থেকে প্রায় ৫/৬ মন পেয়াজ তুলে নিয়ে গেছে। এ মাঠ থেকে কৃষক হেলাল ও সেকেন আলীর প্রায় ১০ কাঠা জমির রসুন তুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, কৃষকরা কেউ অভিযোগ করলেই তিনি তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেবেন।