স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে গিয়ে এক গ্রাম পুলিশ হামলার শিকার হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মাসালিয়া আমতলা যাত্রী ছাউনিতে গ্রাম পুলিমের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় হামলায় আহত গ্রাম পুলিশ সদস্য আকরাম হোসেন (৪৫) কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারী আহত গ্রাম পুলিশের মামার ছেলে। এ ঘটনায় আহতের সহযোগী গ্রামপুলিশ সদস্য শ্যামল সন্যাসী বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত গ্রাম পুলিশ আকরাম হোসেন জানান, পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে গ্রাম পুলিশ শ্যামল সন্যাসী, ফজলুল হক ও সে নিজে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের জন্য আমতলা যাত্রী ছাউনিতে উপস্থিত হন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জন তাদের ট্যাক্সের খতিয়ান দেখতে আসেন। এ সময় ইউনুস সেখ ওরফে এছো শেখের ছেলে জিয়া সেখ তার নামে তিনশ টাকা ট্যাক্স ধার্য দেখে উত্তেজিত হয়ে বাকা-বকি শুরু করে। এসময় গ্রাম পুলিশরা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রাম পুলিশ আকরামের দাঁড়ি ধরে কাঁচি দিয়ে কোপাতে থাকে। হামলাকারী ধারালো কাঁচির আঘাতে আকরামের ডান হাত ও পায়ের একাধিক স্থানে কেটে যায়।
গ্রামপুলিশের উপর হামলাকারী জিয়াকে পাওয়া যায়নি। তবে তার চাচা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর দাউদ সেখ জানান, আগের চেয়ারম্যানের সময় জিয়ার বার্ষিক হোল্ডিং ট্যাক্স ছিল ১শ টাকা। কিন্তু নতুন চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশদের দিয়ে তালিকা করে ট্যাক্স বৃদ্ধি করেছে। এ ঘটনায় ভুল বোঝা-বুঝি হয়েছে।
থানায় অভিযোগকারী গ্রাম পুলিশ সদস্য শ্যামল জানান, তারা পরিষদের সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ অনুযায়ী ট্যাক্স আদায়ে গিয়েছিল। তারা গ্রামে নামার আগেই হামলা করা হয়। গ্রাম পুলিশরা তালিকা করে ট্যাক্স বৃদ্ধি করেছে এমন অভিযোগে তুলে জিয়া তাদের উপর হামলা করে। কোন প্রকার কারণ ছাড়াই ডিউটিরত সহকর্মীর উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকিব খাটিপু বলেন, পরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্যাক্স নির্ধারণ করেছে। গ্রাম পুলিশরা ট্যাক্স আদায় শুরু করার আগেই জামায়াত বিএনপির সমর্থকরা এ হামলা করেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা হাবিবুল্লাহ জানান, কর্তব্যরত গ্রাম পুলিশদের মুখে হামলার ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। হামলাকারীকে পাওয়া যায়নি। গ্রাম পুলিশ বা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগও পাওয়া যায়নি।