খোকসায় ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে

0
70

স্টাফ রিপোর্টার

দিন তাপদাহ, রাতে শৈত প্রবাহের ফলে ঈদের ছুটিতে ১ হাজারের বেশি শিশুরা ডায়রিয়া ও ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। রবিবার এক সকালে জরুরী বিভাগে প্রায় ৭০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ সময়ে ২জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত হয়েছে। তারা ঢাকা থেকে আসা।

কুষ্টিয়ার খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দিনে তাপদহ ও রাতে শৈত প্রবাহ বিরাজ করছে। প্রকৃতির খেয়ালীপনায় দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যবধানের কারনে শিশুæরা ডায়রিয়া ও ঠান্ডা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত ৯ এপ্রিল সকাল ১১ টা থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ থেকে ১০৭৪ জন শিশুকে ডায়রিয়া ও ঠান্ডা জনিত রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুধু রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত প্রায় ৭০ জন শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ চিকিৎসা দিয়েছে। এ সময়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত ৩১ শিশুকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ১০জনকে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছিল।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বিপ্লব জানান, রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি প্রায় ৯০ জন শিশুরোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত। প্রকৃতিতে ঠান্ডা গরমের কারনে ডায়রিয়া ও ঠান্ডা জনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে জরুরী বিভাগ থেকে ১০৭৪ জন শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৩ শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। বাঁকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আবির হোসেন সোহাগ জানান, গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুরোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেককে খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এর সাথে ঠান্ডা রোগী আছে।

তিনি আরও বলেন, প্রকৃতির খেয়ালপিনায় দিনে গরম রাতে ঠান্ড পরায় শিশুরা ডায়রিয় ও ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।