স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় খোকসায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরবর্তী বিচ্ছিন্ন হামলা ও সহিংশতায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার চতুর্থ ধাপে খোকসা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পরবর্তী প্রথম ২৪ ঘন্টায় বিজয়ী- পরাজিত- বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার ঘটনায় আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্বাচন শেষ হওয়ার কিছু সময় পর আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চশমা মার্কা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের উপর ভবানীগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। আমবাড়িয়া ইউনিয়নের বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী সাকিল (১৫) নামের আহত এক কিশোরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া তারিকুল ইসলাম (২৩), বিজয় (১৩), জয়নাল (৪০), জাহাঙ্গীর (৪৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্বাচনের দিন সন্ধ্যায় জানিপুর ইউনিয়নের নৌকা প্রতিকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর এক এজন্টের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। একতার পুর হাটের উপর বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকেরা এ হামলা চালায় বলে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় আহত হাসমত মন্ডল (৪২) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকরা হয়েছে।
নির্বাচনের পর দিন সোমবার সকালে খোকসা ইউনিয়নের মেড়াগাছা হাটের উপর এক বিজয়ী মেম্বর প্রার্থীর লোকদের হামলায় এক মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রিপন (৩৫), রফিকুল (৪০), মিন্টু(৪৫) মনির হোসেন (১৫), মোকাদ্দেস (৫৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে গোপগ্রাম ইউনিয়নের সাতপাখিয়া গ্রামে এক পরাজিত মেম্বর প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিদ্ব›িদ্ব বিজয়ী মেম্বরের লোকেরা। এ হামলায় অহত আব্দুল কাদের (৫৫), শহিদুল (৪৮), জাহাঙ্গীর (৪৫), আবুল কাশেম (৬০), নাজমা (৩৫) পলাশ (৪০), আনিচুল (৩৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হামলা পাল্টা হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ২৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তি রোগীদের অনেকের অবস্থা গুরুতর। একজনকে উন্নত চিকৎসার জন্য স্থানন্তর করা হয়েছ।
আমবাড়িয়া ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চশমা প্রতিকের চেয়ারম্যান আকমল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার একটি নিকটতম সূত্র জানায়, হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুুতি চলছে। মঙ্গলবার মামলা দায়ের করা হতে পারে।
সোমবার রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) মামুনুর রশিদের সাথে কথা বলে চিশ্চিত হওয়া গেছে, এসব বিচ্ছিন্ন হামলার ঘটনায় কোনো এজাহার থানায় আসেনি।