খোকসায় পেঁয়াজের কালি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে কৃষক

0
59

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার কৃষক তোরাপ আলী। সাত কাঠা জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। দাম না পাওয়ায় ক্ষেত থেকে পেঁয়াজের কালি (ফুল) তুলে রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন। তার মত অনেক কৃষক পেঁয়াজের কালি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর রেকর্ড পরিমানে ২৭৬৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন চারা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে ৩০ হেক্টর জমিতে। মূলকাটা পেঁয়াজের দুই রকম লাভ হয়। প্রথমে সবজি হিসেবে চড়া দামে পেঁয়াজের কালি (ফুল) বিক্রি করা যায়। দ্বিতীয়োত পেঁয়াজ বিক্রি হয় চাহিদার সাথে।

খোজ নিয়ে দেখা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় প্রধান বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের কালি বিক্রি হয়েছে ২০ টাকায়। কিন্তু কৃষক এককেজি কালি আড়তে বিক্রি করে পাচ্ছে ৫ টাকা। তার থেকে কেজি প্রতি আড়দারী কেটে নেওয়া হচ্ছে ২ টাকা। অনিন্ত্রিত আড়ৎদারীর কারণে কৃষক বাজারে ফসল নেওয়ায় অনিহা সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলার কাদিরপুর বিলের মাটির রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একাধিক পেঁয়াজের কালির স্তপ চোখে পরে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এর পেছনের ইতিহাস। কৃষক তার অনিহার কারণেই পেঁয়াজের কালি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছে। খুচরা বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে।

কৃষক তোরাপ আলী। নিজের ক্ষেত থেকে পেঁয়াজের কালি তুলে এনে রাস্তায় স্তুপ করেছেন। তিনি জানান, ৭ কাঠা জমিতে মূল কাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছিলেন। তিনি জমি থেকে পেঁয়াজের কালি তুলে রাস্তা ফিলে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান আড়তে পেঁয়াজের কালী ৫ টাকা কেজি (দুই আটি) বিক্রি হচ্ছে। তার থেকে দুই টাকা আড়ৎদারী দিতে হচ্ছে। ফলে কৃষকের পরিশ্রম বৃথা যাচ্ছে। তাই তার মত এই মাঠের অনেক কৃষক পেঁয়াজের কালি রাস্তায় ফেলে দিচ্ছেন। পেঁয়াজ নামার জন্য এখন আবার লোক দিয়ে কালি ভেঙ্গ রাস্তায় ফেলতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন – ব্যাংকের ভিতর থেকে ভিক্ষুকের টাকা নিয়ে গেলো প্রতারক

উপজেলা কৃষি কর্মমর্তা আব্দুল্লাল নোমান বলেন, আড়দার শ্রেণির কারণে কৃষক ক্ষতিগ্রস্তু হচ্ছেন। কৃষিপন্য বিপণন ও মার্কেটি বিভাগ বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ কওে থাকে। এ বিষয়ে কৃষি বিভাগের কিছু করার নাই।