খোকসায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে ছাত্র-শিক্ষকদের বিক্ষোভ

0
90

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার ওসমানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিক্ষোভ করেছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের অপসারণের দাবিতে কøাস বর্জন করে। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা একটি বিক্ষোভ মিছিলসহ গড়াই নদী পার হয়ে উপজেলা সদরে আসে। বিক্ষোভকারী কয়েকশ শিক্ষার্থী উপজেলা পরিষদে ঢুকে পরে। তারা প্রায় এক ঘন্টা ধরে উপজেলা ক্যাম্পাসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুহুমুহু স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আলিফ খান, একই শ্রেণির ছাত্রী দীঘি খাতুন, কুয়াসা খাতুনসহ ৫ শিক্ষার্থীর একটি দল উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তার সাথে দেখা করেন। দুপুর তিনটার দিকে প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় তুলে ধরে একটি আবেদন জমা দেন।

আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষকরা জানান, কয়েক বছর আগে দলীয় বিবেচনায় মতিয়ার রহমান ওসমানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়ে নেন। এখানেই শেষ নয়। ছাত্র-শিক্ষকদের উপর শুরু করেন নির্যাতন। সামান্য অপরাধেই শিক্ষকদের কারণ দর্শানো থেকে শুরু করে বেতন ভাতা কেটে নেন। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনেক শিক্ষকের নামে মামলাও দিয়েছেন। এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের অশালীন আচরণ ও অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাজ করার অভিযোগ করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আারও পড়ুন –

নবম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া খাতুন জানান, বিদ্যালয়ে ল্যাব নাই, মেয়েদের কমনরুম ও শ্রেণিকক্ষে ফ্যান নাই। কোন সমস্যা নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তিনি মেয়েদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অফিসে বসে বিড়ি সিগারেট খাওয়ার (ধুমপাানের ) অভিযোগ করে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক মতিয়ারের বিরুদ্ধে অ¤্রাব্য ভাষা ব্যবহারের অভিযোগ করেন এই শিক্ষাথী।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেওয়া সহকারী শিক্ষক জয়ন্ত কুমার সরকার অভিযোগ করে বলেন, তিনি অপারেশনের জন্য আবেদন দিয়ে ১৭ দিনের ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ছুটি না দেখিয়ে তার ১৭ দিনের বেতন কেটে দিয়েছেন। তার মতই প্রধান শিক্ষকের রোশানলের শিকার হয়েছেন, শিক্ষক আল-আমীন, আব্দুর রহিম, শাখাওয়াত হোসেনসহ একাধিক শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের কারসাজিতে আনোয়ার হোসেন লিটন নামের এক সহকারী শিক্ষককে রাজনৈতিক মামলায় আসামি করা হয়। ওই মামলা শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ৯০ দিন হাজত খেটেছেন।

প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথাবলা হলে তিনি জানান, তিনি সকালে স্কুলে গেলে কতিপয় শিক্ষক তার কাছ থেকে ( প্রধান শিক্ষকের) জোরপূর্বক পদত্যাগ পত্র নিতে চেষ্টা করেন। তারা পদত্যাগ পত্র নিতে ব্যর্থ হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরে আসেন। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে চলে আসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ইতোমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।