খোকসায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

0
137

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় মুক্তিযোদ্ধার ইজারাকৃত জমি মাটি ভরাট করে দখল নেওয়ার চেষ্টা সহ ওই মুক্তিযোদ্ধার ঘর নির্মানে বাঁধা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। তবে বিএনপির নেতার দাবি আলোচনা সাপেক্ষে এলাকারাসীর জন্য রাস্তা নির্মানের প্রয়োজনে যা করার ,তাই করেছেন।

বীর মুত্তিযোদ্ধ মোঃ রফিকুল আলম তালম জানান, খোকসা রেল স্টেশনের পূর্ব ও উত্তরে প্রায় ১০০ লম্বা ব্যানিজিক ও প্রায় ১০০ ফুট লম্বা কৃষি জমি তার স্ত্রী আরিফা খাতুনের নামে ইজহারা নিয়ে ভোগদখল করে আসছিলেন। ৫ আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান কাজলের চোখ পরে। তিনি জমি দখলের পায়তারা শুরু করে। সম্প্রতি তিনি ব্যক্তি উদ্দোগে গ্রামবাসীর কথা বলে তার গোটা জমি দখলের চেষ্টা করছে। ইতেমধ্যে তারা প্রায় ১০০ ফুট লম্বা একটি জমিতে মাটি ফেলে দখল নিয়েছেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার স্ত্রীর নামে রেলওয়ে থেকে ইজারা কৃত অপর একটি জমিতে ঘর নির্মান কাজ করাচ্ছিলেন। গত দুই তিন দিন ধরে ঘর নির্মানা কাজ বন্ধের চেষ্টা কর ছিলেন ওই নেতা। তিনি নিজে লোক জন নিয়ে ঘর নির্মানে বাধা দেন। সব চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে রবিবার সকালে পুলিশ পাঠিয়ে ঘরের নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পোড়াদাহ-রাজবাড়ী রেল রুটের খোকসা রেল স্টেশনের পেছনে দীর্ঘ একটি ডোবা। স্টেশনের প্লাট ফর্ম সংলগ্ন কাচা দোকান গুলোর ডোবার পর দিয়ে তৈরী। দোকান গুলোর পেছনের এই ডোবাটির একাংশ মাটি দিয়ে ভরাট কাজ করা হচ্ছে। একটু এগিয়ে যেয়েই স্টেশনের প্লাট ফর্ম শেষ হতেই সবুজ টিনের তৈরী শতফুট লম্বা একটি ঘর। নির্মান কাজ বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম তালম রেলওয়ে থেকে ইজারা নিয়ে এই জমি ভোগদখল করছিলেন। এই জমির পেছনেও তারই জমি। কিন্তু হঠাৎ করে কেন যে রাস্তার প্রয়োজন পরলো এ বিষয় তাদের বোধগম্য নয়।

ঘটনা স্থলেই কথা হয় উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ার মনিরুজ্জামান কজলের সাথে। তিনির দাবি করেন এলাবাসীর প্রয়োজনে রাস্তা করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার সাথে আলোচনা করেই মাটি ফেলা হয়েছে। তিনি স্পষ্টত জানিয়ে দেন কার ইজারা আছে তার ব্যাপার নয়। জনগনের অধিকার সবার আগে। রাস্তা জনগনের অধিকার।

ঘর নির্মানে বাধার বিষয়ে তিনি একই কথা বলেন, জনগনের টাকায় রাস্তা করার হচ্ছে। জনগন তাকে টাকা দিয়েছেন তাই রাস্তা হচে। এটা কোন সরতকারী প্রকল্প নয় বলেও তিনি স্বীকার করেন।

রেলওয়ের খোকসার ষ্টেশন মাষ্টারের সাথে কথা বলারে চেস্টা করা হয়। তিন্তু তিনি ডেপুটিশনে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন – থানায় অগ্নি সংযোগের ঘটনায় বিএনপি নেতাকে দুষলেন আর এক নেতা

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ নাইমুল ইসলাম বলেন, হাজার বছরেও রাস্তা করার প্রয়োজন হয়নি। পুকুরের মধ্যদিয়ে রাস্তা করা নিছক হিংসা। তবে দুই পক্ষেকে একত্রে বসিয়ে সমাধান করা যায় কিনা।