স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় বখাটেদের মোটরসাইলের চাপায় আহত সজ্ঞাহীন হতদরিদ্র বৃদ্ধা বিনা চিকিৎসায় তিন দিন ধরে মৃত্যুর সাথে লড়ে চলেছে।
আহত সজ্ঞাহীন বৃদ্ধর নাম আকলিমা খাতুন (৭০)। তিন সন্তানের মা বিধবা আহত নারীর স্বামী মৃত রুস্তম শেখ। পহেলা জানুয়ারি সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের থানা পাড়ায় নিজের বাড়ির সামনে রোদ পোহানোর সময় বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেল চালক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে বৃদ্ধাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত বৃদ্ধাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে সজ্ঞাহীন বৃদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
আহত বৃদ্ধার দিনমুজুর ছেলেদের আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় উন্নত চিকিৎসার দিতে পরছেন না পরিবার। কুষ্টিয়া থেকে ভ্যানে ফিরিয়ে এনে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুনরায় ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মহিলা ওয়ার্ডের ১১ নম্বর বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। এ ঘটনায় আহত বৃদ্ধার দ্বিতীয় পুত্র বাদি হয়ে তার মায়ের ঘাতক জিল্লুর রহমানের বখাটে ছেলে বর্ণ রহমান ও দ্বিপ্ত রহমানের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ ঘাতক সহদরদের ধরতে পারেনি।
আহত বৃদ্ধার ছেলে ও মামলার বাদি শফিকুল ইমলাম শফিক জানান, তার মায়ের ঘাতক বর্ণ ও দ্বিপ্ত সহদরকে ঘটনা স্থলে জনতা আটক করে। তারা আহতের চিকিৎসার প্রতিশ্রæতি দিয়ে ছাড়া পায়। কিন্তু এর পর থেকে ঘাতক বা তার পরিবার আর খোজ খবর নেয়নি। নিজেদের আহত মায়ের চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ নেই। দুর্ঘটনার পর আর তার মা কথা বলেনি। ডাক্তারা জানিয়েছেন মাথায় প্রচুর রক্ত জমাট বেঁধেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া জরুরী।
ঘাতক চালক বর্ণ ও দ্বিপ্তর বাড়ি উপজেলা সদরের কলেজ পাড়ায়। তাদের বাবার নাম জিল্লুর রহমান। শুক্রবার দুপুরে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। এক পর্যাযে তাদের বাড়িতেও যাওয়া হয়। বাড়ির ভিতরে লোক থাকলেও সারা দেন নি।
আরও পড়ুন – খোকসায় মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় নতুন বই বিতরণ শুরু
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মুস্তাক আহমেদ বলেন, আসামীরা পালাতক রয়েছে। ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সড়ক দুর্ঘনা আইনে মামলা আসামীদের পাওয়া মাত্রই আদালতে সপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন – কুমারখালীতে ওয়াজ মাহফিল নেতৃত্বে নিয়ে হামলায় আহত ১
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান বলেন, রোগীর মাথায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হয়েছে এ ছাড়া জ্ঞান নেই। বাঁচার আশা ছেড়ে দেওয়ার পর্যায়ের রয়েছে।