স্টাফ রিপোর্টার
নানী মোবাইল ফোন কিনে না দেওয়া সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্র ঘাস মারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামে ওই শিশু ছাত্র তার নানা বাড়িতে নানীর সামনে ঘাস মারা বিষ পান করে। এ সময় বৃদ্ধা নানীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে শিশু ছাত্রকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিক্ষার্থীকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
বিষপানে আত্মহত্যার চালানো ছাত্র শান্ত প্রন্তিক কৃষক দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে ফুলবাড়ি নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার বয়স ১২ বছর। শিশুটিকে চার বছেরের রেখে তার মা আলেয়া সাপের কামড়ে মারা যায়।
ছাত্রের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে শান্ত তার নানীর কাছে একটি মোবাইল ফোনের দাবি করে। এ কথা জানতে পেরে তিনি নিজে মোবাইল ফোন কিনে দেওয়ায় বাধাদেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সে তার নানীর কাছে মোবাইল চেয়ে জীদ ধরে। এক পর্যায়ের বাড়ির লোকদের সামনে সে বিষ পান করে। এ সময় তিনি বাড়ির পাশের একটি চায়ের দোকানে ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ইফফাত জাহান তনুজা জানান, শিশুটি ঘাসমারা বিষ খেয়েছে। এ বিষের বিরুদ্ধে তেমন কার্যকরী ওষুধ খুব সীমিত। শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে শিশুটি শরীর থেকে যদি রক্তক্ষরণ শুরু হয় তখন উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদরের হাসপাতালে পাঠানো লাগতে পারে।