খোকসায় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ ছাত্র উদ্ধার

0
127
মা বিনার সাথে ছাত্র তৈফিক

অপহরণ ঘটনার সালিশ করবেন ইউপি চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় প্রাইভেট পড়তে বেড়িয়ে নিখোঁজ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে উদ্ধারের পর পরিবার বলছে তাকে কৌশলে অপহরণ করা হয়েছিল। চেয়ারম্যান সালিশে নিষ্পত্তির প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানালেন অপহৃত স্কুল ছাত্রের মা।

জানা গেছে, সম্প্রতি এক সকালে ধোকরড়াকোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির ছাত্র তৈফিক হোসেন হৃদয় প্রাইভেট পড়তে বের হয়। আর বাড়ি ফিড়ে আসে না।এক পর্যায়ে একমাত্র সন্তান নিখোঁজের বিষয়ে ছাত্রের বাবা আকরাম হোসেন খোকসা থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। নিখোঁজের ৪ দিন পর রাজধানী ঢাকা থেকে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ ছাত্র তৈফিকে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামে তার নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। সে জানায় প্রতিবেশী মধু প্রামানিকের ছেলে সজিব তাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় অপহরণ কারীরা দুই/তিন জন ছিল। অপহৃত ছাত্রের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে সজিব তাকে চাকরীদেওয়া কথা বলে আসছে। এ জন্য তার কাছে টাকাও দাবি করে। সেদিন সকালে সে স্থানীয় শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের কাছে পড়তে যাচ্ছিল। পথে সজিব তাকে আটকায়। এক পর্যায়ে সুইচ ওয়ালা চাকু তার গলায় ধরে বাইসাইকেলটি কেড়ে নেয়। এর পরে খোকসা হয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। সেখানে সজিব তাকে অন্যদের হাতে তুলে দেবার চেষ্টা কররে। এ বিষয়টি বুঝে সে পালিয়ে বাড়ির সাথে যোগায়োগ করে। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে।

নিখোঁজ ছাত্রের মা বিনা জানান, প্রতিবেশীরা তার ছেলেকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে গ্রামের ছেলেরা তার ছেলেকে উদ্ধার করার পর তারা থানায় যাচ্ছিল কিন্তু স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সালিশে সমাধানের কথা বলে তাদের থানায় যেতে দেয়নি। ছেলে নিখোঁজের পর তারা থানায় জিডি করেছিলেন।

কথিত অপহরক সজিবের মা নাছিমা দাবি করেন, বেশ কিছুদিন আগে তার ছেলে চাকরীর উদ্যেশ্যে ঢাকা গিয়েছে। ইতোমধ্যে ছেলের চাকরীর জামানত ও অগ্রিম বাসা ভাড়া বাবদ প্রায় ২১ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। তার ছেলে এই ঘটনার সাথে জড়িত না বলে তিনি দাবি করেন।

জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে কলকরা হয় কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি তিনি প্রথম শুনলেন। কি ভাবে অপহরণ হয়েছিল সে বিষয়টি পুলিশেরও জানা প্রয়োজন। চেয়াম্যান কি করেন সে বিষয় জানার জন্য তিনিও অপেক্ষায় আছেন বলে জানান।