খোকসায় রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের সন্ধান মেলেনি

0
56

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় তিনদিন আগে রহস্যজনক ভাবে মাাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ ছাত্রের সন্ধান মেলেনি। গায়ের গেঞ্জির সূত্রধরে খালের পানিতে ছাত্রটির সন্ধ্যানে নেমেছে গ্রামবাসী।

রবিবার বিকালে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্র মাহামুদ (১১) একটি গেঞ্জি মোড়াগাছা খালের ধারে পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরে খালের পানিতে উদ্ধার ততপরতায় নামে পুলিশ ও ফায়ার সাভিসের কর্মীরা।

গত শুক্রবার সন্ধ্যা মাদ্রাসা থেকে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয় ছাত্র মাহামুদ। সে খোকসা ইউনিয়নের হিলালপুর গ্রামের দারুস সুফফাহ নূরানী হাফিজিয়া কওমী মাদ্রাসা ও এতিম খানার ১২ পাড়া কোরআনের ছাত্র ছিল। নিখোঁজ ছাত্র উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তবাড়িয়া গ্রামে রাশেদ শেখের ছেলে।

স্থানীয় গ্রামপুলিশ মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকালে মোড়াগাছা চাষীপাড়া মসজিদে আছরের নামজারের সময় এক মুছল্লির মোবাইল ফোন চুরি করে শিশু মাহামুদ পালিয়ে যায়। সমবয়সীরা তাকে ধরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ রকি’র কাছে হস্তান্তর করে। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রের কাছ থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে তাকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় মাহামুদ মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। তিনদিন খোজা খুজির পরেও নিখোাঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

রবিবার দুপুরে বাক প্রতিবন্ধি আফজাল ওই নিখোঁজ ছাত্রের একটি গেঞ্জি মোড়াগাছা খালের ধারে পায়। ওই গেঞ্জি নিখোঁজ ছাত্রের বলে দাবি করেন তার বাবা মা। ওই প্রতিবন্ধি নিখোঁজ ছাত্রের উপরে নির্যাতন চালানোর বর্ণনা দেয় (ইশারায়)। এরপর পরিবারের লোকেরা পুলিশ ও ফায়ার সাভিসকে খবর দেয়। বিকাল থেকে খালের পানিতে নিখোঁজ মাদাসা ছত্রের খোজাখুজি করা হয়। স্থানীয় ডুবুরিড়া সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘন্টা খালের পানিতে চেষ্টা করে ব্যথ হয়। পরে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।

নিখোঁজ ছাত্রেরসহপাঠি রাহাত জানায়, মোবাইল চুরি করে ধরা পরার পর মাহামুদ মাদ্রাসা ফিরে খুব কেঁদেছিল। সন্ধ্যার একটু আগে সে পানি আনার কথা বলে মাদ্রাসা থেকে বাহির হয়ে আর ফেরেনি। তাকে কেউ মারেওনি।

নিখোঁজ ছাত্রের বাবা রাশেদ শেখ দাবি করেন, মোবাইল কেন্দ্র করে তার ছেলেকে গুম করা হতে পারে। তিনি সন্তান ফিরে পাওয়ার দাবি করেন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মওলানা রওশন জামিলকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে কল করা হয় কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেনি।

মাদ্রাসার অপর এক শিক্ষক আব্দুর রহমান জানান, ছাত্রটি সেদিন পানি আনতে বেড়িয়ে আর ফেরেনি। তারা ছাত্রটির খোঁজ পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবিও ছেড়েছে।

আরও পড়ুন –

খোকসা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার নজরুল ইসলাম জানান, ছেলেটি পানিতে পরেছে কি না তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর যায়েদ বলেন, মাদ্রাসা ছাত্র মাহামুদের মিছিং নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আরও খোজা না করে বলা যাচ্ছে না।