স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামে সাপের কামড়ে নববধূ ও তার শ্বাশুরীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে প্রথমে নববধূ কামরুন্নাহার (১৭) ও শ্বাশুরী জয়নব বেগম (৪৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান।
জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খান টিপু ওই নববধূ ও তার শ্বাশুরীর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে। তিনি জানান, সোমবার দিনগত রাতে তার ইউনিয়নের মামুদানী পুর গ্রামের গৃহকর্তা আব্দুস ছাত্তারের পরিবারের লোকেরা রাতের খাবার থেয়ে ঘুমতে যায়। রাত ২টার পর নববধূ কামরুন্নাহার তার স্বামী হাবিবুল বাহারকে জানান তার মাজায় কিসে যেনো কামড় দিয়েছে। এই সময় পাশের ঘর থেকে তার শ্বাশুরী জয়নব বেগমও স্বামী আব্দুুস ছাত্তারকে জানান তার হাতে কিসে যেনো কামড় দিলো। রাতেই শুরু হয় গ্রামের ওঝাদের অপচিকিৎসা। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে ভর্তিকরে চিকিৎসাও দেওয়া হয়। কিছু সময় পর অসুস্থ্য নববধূ ও শশ্বাশুরীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার পর আগে নববধূ ও পরে তার শ্বাশুরী মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরো জানান, মাত্র ৬ মাস আগে কামরুন্নাহারের বিয়ে দিয়ে এই বাড়িতে আনা হয়। মেহেদীর রং মুছার আগেই তার জীবন প্রদীপ নিভে গেলো।
আরো পড়ুন – ঝিনাইদহে সাবেক এসপি বাবুলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
নিহত গৃহকত্রীর ছেলে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগতা মুন্নাফ হোসেন জানান, রাতে প্রায় একই সময়ে তার মা জয়নব ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কামরুন্নাহারের হাতে ও মাজায় পোকায় কামড় দেওয়া কথা জানান। ভোরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কুষ্টিয়ায় রেফার্ড করা হয়। সেখানে নিয়ে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আগে নববধূ কামরন্নাহার ও পরে জয়নব বেগমের মৃত্যু হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান বলেন, সারারাত ধরে গ্রামীন চিকিৎসার পর সকালে নববধূ ও তার শ্বাশুরীকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসা দিয়েও তাদের সুস্থ্য করার অবস্থা ছিল না। তাই তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়।