খোকসায় সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবক শিশুরা

0
142

কাঁদার রাস্তায় ইট বিছিয়ে চলাচল উপযোগী করছে

স্টাফ রিপোর্টার

এঁটেল মাটি নতুন রাস্তার। সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদা জলে একাকার হয়ে যায়। মসজিদের নামাজিরাসহ স্থানীয় বসতিরা পোশাক গুটিয়ে জুতা স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলা ফেরা করতে বাধ্য হয়। তাই কর্দমাক্ত রাস্তায় নিজেদের উদ্যোগে ইট বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করছে শিশুরা।

কুষ্টিয়ার খোকসার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের জয়ন্তী হাজরা স্কুল মোড় থেকে আমলাবাড়ি বাজারের পেছনে গিয়ে মিশেছে পাকা রাস্তাটি। ইউনিয়নটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের দুলাল মন্ডলের বাড়ি থেকে শিমুলতলা মসজিদে গিয়ে মিশেছে মাটির কাঁচা রাস্তা। সম্পতি ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় স্বেঠচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গ্রামবাসী নিজেদের উদ্যোগে মাটি ফেলে এ রাস্তাটি মেরামত করেছেন। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই এঁটেল মাটির রাস্তাটিতে কাঁদা হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। পাকা রাস্তা থেকে ৫০০ গজ দূরের মসজিদ ও এর আসেপাশের বসতিদের বাড়ি যেতে আসতে যুদ্ধ করতে হয়। বৃদ্ধ মানুষ হলেই তো আর কথা নেই। তাকে এঁটেল মাটির কাঁদায় নাকানি চুবানি শিকার হতে হয়।

সাধারণ মানুষসহ নিজেদের কষ্টলাঘবে বাড়ি থেকে ইট সংগ্রহ করে রাস্তায় বিছিয়ে দেয় শিশু কারিম, তাইবা, মাসুরাসহ কয়েক জন। তারা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী। গ্রামের ভিতরের পাকা রাস্তা থেকে ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ করা ইট বিছানো হয়েছে। ইটের সংকটে এখানেই থমকে গেছে শিশুদের সামাজিক উন্নয়ন কাজ।

কয়েকবার ম্যামেরা কিক করার পর আনমনা সেচ্ছাসেবক দলের শিশু সদস্যদের সম্বিত ফেলে। তারা প্রচন্ড শব্দকরে হেঁসে দৌড়ে পালায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তার তাদের আবার ফিরিয়ে আনা হয়।

শিশুদের সাথে কথা বলার সময় প্রথমে নিজের নাম জানাতে অস্বীকার করে। আলাপ চারিতায় এক পর্যাযে দ্বিতীয় শ্রেীণর ছাত্র কারিম জানান, রাস্তায় কাঁদা হওয়ায় অনেক বুড়ো (বৃদ্ধ) মানুষ মসজিদে যেতে পরে না। পিছল খেয়ে পরে যায়। তা ছাড়া নিজেদেরর খেলতে ও স্কুলে যাওয়া সমস্যা। তাই নিজেরা বাড়ি থেকে ইট এনে রাস্তায় দিচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দার দুলাল মন্ডল জানান, রাস্তাটি সংস্কার করার পর সামন্য বৃষ্টিতে কাঁদা হয়ে যায়। সামান্য দূরে মসজিদ ও স্থানীয়দের কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। বেশ কিছু লোক আসা যাওয়া করে। শিশুরা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে।

ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আজিজুল হক মনির নাজান, স্থানীয়দের উদ্যোগে নতুন রাস্তা করা হয়েছে। কিছুদিন মানুষ চলাচল করলে ঠিক হয়ে যাবে।

জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সকিব খান টিপু বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ কম থাকায় পরিষদ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নতুন রাস্তাটি করা হয়েছে। আগামীতে ইট বিছানোর পরিকল্পনা রয়েছে।