খোকসায় সুইচ দিতেই আগুন জ্বলে উঠলো প্রতিবন্ধির ঘরে

0
107

স্টাফ রিপোর্টার

বিদ্যুতের আলোর সুইচ দিতেই প্রতিবন্ধি ইন্তাজ আলীর ঘরে আগুন জ্বলে ওঠলো। আর সেই আগুনেই পুড়ে গেছে বাক প্রতিবন্ধি বাবা ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি ছেলে দু’খানা ঘর।

শুক্রবার ভোরে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার খোকসা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রতনপুর গ্রামের বাক প্রতিবন্ধি ইন্তাজ আলীর বসত বাড়িতে এই অগ্নিকান্ড হয়। তখন স্থানীয় সমজিদে ফজরের নামাজ চলছিল। অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত দেখেই ওই বাক প্রতিবন্ধি মসজিদে ছুটে গিয়ে খবর দেন। পরে মসজিদ থেকে মাইকে আগুন লাগার খবর জানানো হয়। মুসল্লি ও স্থানীয়রা চেষ্টা করে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ততক্ষনে বাক প্রতিবন্ধি ইন্তাজ ও তার বুদ্ধ প্রতিবন্ধি ছেলে নূর ইসলামের দুটি ঘর পুড়ে যায়। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় প্রতিবন্ধি নূর ইসলাম ও তার দেড় বছরের প্রতিবন্ধি আর এক শিশু শন্তান।

ভুক্তভোগী বাক প্রতিবন্ধি ইন্তাজ আলী অঙ্গভঙ্গী দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেন তিনি সুইচ দেওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুতের বাভø ফেটে আগুন ধরে যায়। তখন তিনি সবাইকে খবর দেন।

বাক প্রতিবন্ধির স্ত্রীর ভাই খালেক জানান, অন্যদিনে মত প্রতিবন্ধি ইন্তাজ আলী রাতে তার (খালেকের) বাড়ি থেকে রাতের খাবার খেয়ে একলা নিজের ঘরে ঘুমায়। কাক ডাকা ভোরে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটের আলোর জ্বালাতে বিদ্যুতের সুইচ দেন। মুহুত্যের মধ্যে তার ঘরে আগুন জ্বলে ওঠে। প্রতিবন্ধি ইন্তা]জ তখন আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের জাগানোর জন্য বিভিন্ন বাড়ির টিনের ঘরে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে শব্দ করে। এক পর্যয়ে সে স্থানীয় মসজিদে ছুটে গিয়ে সবাইকে আগুনের কথা বোঝাতে চেষ্টা করে। ততক্ষনে তার ও তার ছেরের দুটি ঘর পুড়ে যায়। পরে খোকসা ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা এসেছিল। তখন আগুন নিভে গেছে।

তিনি আরও জানান, বাক প্রতিবন্ধি ইন্তাজ আলীর বয়স ৫০ বছরের কাছাকাছি কিন্তু তার বা তার পরিবারের অপর দুই প্রতিবন্ধির কোন প্রকার সরকারী সুবিধা পান না।

খোকসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, তিনি বাইরে আছেন। অগ্নিকান্ডের বিষয়ে শোনেন নি। এ ছাড়া ওই পরিবারের তিনজন প্রতিবন্ধি আছেন সে ব্যাপারেও তার জানা নেই।