স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলিন হতে যাওয়া জনগুরুত্ব পাকা রাস্তাটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করলো গ্রামবাসী।
উপজেলা বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিনের মাছুয়া ঘাটা, বনগ্রাম, একতারপুর, বহরমপুর গ্রামের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখে খোকসা-মাছুয়া ঘাটা এই পাকা রাস্তা। ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তাটি গড়াই নদীর পূর্ব তীর ঘেসে গেছে। চাঁদট থেকে জাগোলবা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকার তিনটি স্থানে রাস্তাটি গড়াই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চাঁদট পূর্বপাড়ায় নদী ভাঙ্গনে গুরুত্বপর্ন পাকা রাস্তাটি একাধিক বার ভেঙ্গে গেছে। এবারে পানি কোমা সাথে সাথে রাস্তাটির ৭৫ শতাংশ নদীর পেটে চলে গেছে। গ্রামের আলাতাফ শিকদারের বসত ঘরের সাথে গিয়ে পৌচেছে নদী ভাঙ্গন। ভাঙ্গন কবলিত রাস্তা মেরামত করে আপাতত যোগাযোগ রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম, চাঁদ পাঠাগারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্রামের প্রায় ৩০ জনের স্বেচ্ছাশ্রমে এই পাকা রাস্তাটির প্রায় ৫০ মিটার এলাকায় জিও ব্যাগ ও মাটি ফেলে মেরামত করে।
স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নেওয়া গ্রামবাসীরা জানান, নদী ভাঙ্গন রোধে প্রতিবছরের মত এবাারও পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও বাগ ফেলার প্রকল্প নিয়েছিল। কিছু কাজও করেছিল। রাাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আর কাজ করা হয়নি। প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে গড়াই নদীর পশ্চিম তীর থেকে অবৈধ ভাবে লাখ লাখ ট্রাক বালি উত্তোলন করা হয়। যে কারণে নদী ভাঙ্গন রোধ হয় না। ফলে চাঁদট গ্রামটি বিলীন হয়ে যেতে বসেছে। বার বার পাকা রাস্তা নদীতি ভেঙ্গে যাওয়ায় চাঁদট ও বনগ্রামের ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফাজিল মাদ্রাসা ও ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীসহ ১০ হাজার মনুষের চলাচল বিঘিœত হয়।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম আজিজুর রহমান জানান, ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ মানুষের যোগাযোগ স্বাবাবিক রাখতে মসজিদে আলোচনা করে এলাকারাসীদের সহয়তায় পাকা রাস্তার অবশিষ্ট অংশে সাথে এক কৃষকের জমিতে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ নয়জনের মৃত্যু
গ্রামবাসী শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবছরই নদতে ভাঙ্গন লাগে। ভাঙ্গন ঠেকাতে সরকার ভাবে উদ্যোগও নেওয়া হয়। কিন্তু তা হয় বালির বাঁধ। কারণ ভাঙ্গনের কবলীত নদীর পশ্চিম তীর থেকে প্রতিবছর লাখ লাক ট্রাক বালি মাটি কাটা হয়। আর এ কারনেই নদী ভাঙ্গন বন্ধ হয় না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছরেরও কাজ করা হয়েছে। আবার নতুন করে বরাদ্দা চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়াগেলেই মানুষের চলাচলের উপযোগী রাস্তা করে দিব।