স্টাফ রিপোর্টার
মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীকার আন্দোলন ভিত্তিক নির্মানাধীন স্মৃতিস্তম্ভ মুক্তির মন্ত্র ’র ফলোক উন্মোচন করা হবে শনিবার। প্রধান সড়ক ও স্তম্ভটির মাঝের দোকান ঘর সরানোর দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের।
শনিবার বিকালে খোকসা উপজেলা পরিষদের জমিতে সদ্য নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটির ফলোক উন্মোচন করবেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আর এজন্য নির্মান শ্রমিকরা দিনরাত কাজ করে চলেছেন।
খোকসার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও সুধিজনদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের জমিতে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবোধায়ণে প্রায় ৫৩ ফুট লম্বা ও প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট উচু স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মানের কাজ চলছে। যার নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোিেট ৫৩ লাখ টাকা।
স্মৃতিস্তম্ভটিতে সন্নেবেশিত করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মুড়াল (মুর্তি), ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষন (কালো পাথরের উপর খুদাই করে মুদ্রিত), মহান মুক্তিযুদ্ধে স্থানীয় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী শহীদদের নাম, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফার আন্দোলনসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের উল্লেখ যোগ্য ঘটনাবলি।
নির্মানাধীন স্মৃতিস্তম্ভে সামনে খোকসা-শোমসপুর সড়কে জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নেওয়া জমিতে প্রায় ১০ টি আধাপাকা দোকান ঘর থাকায় প্রধান রাস্তা থেকে স্মৃতিস্তম্ভটি আড়ালে পরেছে। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান কাজ শুরুর সময় থেকে মুুিক্তযোদ্ধা ও স্থানীয় সুধিজন ঘর গুলো সরানোর দাবি করে আসছেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বলেন, নির্মানাধীন স্মৃতিস্তম্ভের পূর্ব দিকের প্রধান রাস্তার পাশে দোকান ঘর থাকায় বঙ্গবন্ধুর মুড়াল ও স্মৃতিস্তম্ভটি আড়ালে পরেছে। বৃহৎ ব্যয়ের স্মাড়ক মুড়ালটি সামনে থেকে দোকান ঘর অপসারণ জরুরী হয়ে পরেছে। একই সাথে শহীদ মুক্তিকামীদের আরো নাম সংযোজনের প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেন, স্মৃতিস্তম্ভের সামনে থেকে মডেল মসজিদ পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশের দোকান অপসারণের জন্য জেলা পরিষদ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রথমে দোকান মালিকদের খাজনা বন্ধ করা হয়েছে। পরে উচ্ছেদের নোটিশও দেওয়া হয়েছে। যে কোন সময় ঘর গুলো উচ্ছেদ করা হবে।