স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসা ও কুমারখালীর পদ্মা নদী তীরবর্তী গ্রাম গুলোতে বীজ আলুর বাম্পার ফলন হয়ছে। কিন্তু পিষ্ঠপোষকতার অভাবে লাভ জনক এ চাষে নতুন কৃষক আসছে না।
চলতি মৌসূমে এ দুই উপজেলার জগনাথপুর ও শোমসপুর ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক কৃষক বিএডিসির সহায়তায় প্রায় ৩শ একর জমীতে বীজ আলুর আবাদ করেন। এ বছর প্রাকৃতিক দুযোগ কম থাকায় আলুর অভাবনীয় ফলন হয়েছে। কৃষকদের সূত্র বলছে, একরে প্রায় ৩শ মন আলু উৎপান হয়েছে। তবে আলুর সাইজের একটু বড় হয়েছে। এর পরেও উৎপাদিত আলু বীজের ৭০ শতাংশ উৎপদন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএডিসির কাছে বিক্রি করা যাবে।

সোমবার সকালে উপজেলার শোমসপুর ইউনিয়নের নিশ্চিতবাড়ি গ্রামে সরেজমিন গিয়ে আলু চাষীদের সাথে কথা বলা হয়। এই গ্রামের ৪০ জন কৃষক বিএডিসির ঋণসহায়তায় প্রায় ১৫০ একর জমিতে বীজ আলু চাষ করেন। বিএডিসির বীজ আলু উৎপাদন করীদের মধ্যে প্রাথম সারির চাষী সাবেক সেনা সদস্য জামিনুর রশিদ বাদশা। ১৬ বছর আগে ২০০৪ সালে চাকুরী থেকে অবসরে এসে প্রতিবেশী দেখা দেখি ২ বিঘা জমিতে বীজ আলু চাষ করেন। এ বছরও তিনি বিএডিসির ঋণসহায়তায় ৫ একর জমিতে আলু আবাদ করেছেন। এ কৃষকরা জানেন তাদের উৎপাদিত আলুর সিংহ ভাগ বিএডিসি কিনে নেবে। আলুর দাম নিয়েও তারা সন্তুষ্ট। কৃষকরা চান তাদের আলু বীজ চাষের জমিগুলো এক এলাকায় হলে উৎপাদন ব্যয় কমহতো আবার ফলনও ভলো হতো।
সাবেক সেনা সদস্য ও চাষীদের ব্লক লিডার জামিনুর রশিদ বাদশা জানান, চাষ শুরুর সময় বিএডিসি একর প্রতি কৃষকে ৬০ হাজার টাকার বীজ সার কীটনাশক ঋণ দেয়। তবে কৃষকের নিজের থেকে একর প্রতি আরো ৩০ হাজার টাকা নগদ ব্যয় করতে হয়। এ বছর আলুর যে ফলন হয়েছে তাতে এক লাখ ৮০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকার বীজ ও আলু বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। অল্প সময়ের এই ফসলে দুই থেকে তিন গুন লাভ হয় বলে তিনি দাবি করে। তবে নিদ্রিষ্ট এলাকায় আলু চাষ করার ব্যবস্থা হলে উৎপাদন ব্যয় কম হতো। আবার ফলন বেড়ে যেত বলেও তিনি জানান। বিএডিসি যদি একরে ৯০ হাজার টাকা নগদ ও সার বীজ কীটনাশক দিত তা হলে নতুন কৃষক এ চাষে উদ্বুদ্ধ হত।