স্টাফ রিপোটার
কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টানা দেড়যুগ পর এক প্রসূতির সিজার অপারেশনের মধ্যদিয়ে রোগীর শরীরে অস্ত্রপাচার শুরু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বুধবার সকালে রুমী খাতুন (৩৫) নামের এক সন্তান সম্ভবা নারীর সিজার অপারেশনের মধ্য দিয়ে অপারেশন সেবা কর্মকান্ড শুরু করা হয়। প্রথম অপারেশনে জন্মনেওয়া ছেলে নব জাতক ও মা সুস্থ্য আছেন। প্রসূতি রুমী পাংশ উপজেলার বড় বনগ্রামের জাহিদ হোসেনের স্ত্রী। এটা ছিল তার তৃতীয় সিজার অপারেশন। এবারের অপারেশনে ডাক্তার হাসপালের জন্য তার টাকা ব্যয় হয়নি।
প্রায় এক যুগ আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শর্যায় উন্নিত করার হয়। সেবার মানউন্নয়নে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষসহ পৃথক দুটি অপারেশ থিয়েটার নির্মান করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় সে উদ্যোগ এতোদিন আলোর মুখ দেখেনি। সম্প্রতি ডাক্তার সংকট দুর হওয়ায় অপারেশ সেবা শুরু করা উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম সিজারের রোগীনির অপারেশন করেন মহিলা ও ধাত্রী রোগে বিশেষজ্ঞ ডাঃ সমিন আক্তার সুমি। অজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ ডাঃ মারুফ আহম্মেদ। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কমরুজ্জামান, শিশু বিশেষজ্ঞডাঃ মহঃ রকিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন- কুমারখালীতে শিক্ষা ও কৃষি উপকরণ বিতরণ
প্রসূতির বাবা ফজর আলী ও মা হাসিনা খাতুন জানান, মঙ্গলবার দিনগত রাতে তার মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হয়। গ্রামের ডাক্তারের মাধ্যমে তাকে প্রথমে খোকসার একটি বেসরকারী কিনিকে ভর্তিকরা হয়। কিনিক মালিককে তিন হাজার একশ টাকাও অগ্রিম দেওয়া হয়। পরে সরকারী হাসপাতালে এমন সুযোগ পাওয়ায় তিনি মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসেন। এখানে অপারেশনের সময় সব ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন। মা ও বাচ্চা ভালো থাকায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কমরুজ্জামান বলেন, দুইটি অপারেশন থিয়েটার পোস্ট অপারেটিভ কক্ষসহ প্রায় সব ব্যবস্থা থাকলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকায় অপারেশন সেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। এবারে তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করে অপারেশন থিয়েটার গুলো রেডি করেছেন। এখন থেকে শুধু সিজার অপারেশন নয়। সব ধরণের অপারেশন করার ব্যবস্থা চালু রাখা হবে।