গণপরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

0
120
holy-dro-27-p8
প্রতিকী ছবি।

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

সরকারি ছুটি আর বাড়ছে না। তবে গণপরিবহন, যাত্রীাবাহী নৌযান ও ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধই থাকছে। অবশ্য ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে পারবে। এ ছাড়া কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল করতে পারবে।

বুধবার বিকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি চলছে। ইতিমধ্যে সাত দফায় ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটির বাড়ানো হয়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সর্বশেষ ঘোষিত সাধারণ ছুটি তিন দিন পর শেষ হচ্ছে ।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০ মে ছুটি শেষ হচ্ছে। এরপর নাগরিক জীবনের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে এবং অফিস-আদালত সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হবে। সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে খুলতে পারবে। সে ক্ষেত্রে বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবতী কর্মীরা কর্মস্থলে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্কপড়াসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১৩ দফা মানতে হবে।

দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগের মতো সকাল ১০টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে আরও কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। যাত্রীবাহী গণপরিবহন, নৌযান, ট্রেন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। তবে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কর্মস্থলের গাড়ি ও ব্যক্তিগত এবং হালকা যান চলতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের নিষেধাজ্ঞাগুলো যেমন এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ মানা হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধই থাকবে। অনলাইন বা অন্যান্য ভার্চুয়াল ক্লাস অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ ছুটির প্রজ্ঞাপনের সময়ই কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছিল। দোকানপাট, তৈরি পোশাক কারখানাসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকও চালু আছে। অফিসও প্রয়োজনে খোলা রাখা যাচ্ছে। তবে জরুরি সেবা ও গণমাধ্যমসহ কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান ছুটির বাইরে থাকছে।