গরু পুষে লাভ হচ্ছে না প্রান্তিক খামারি ও কৃষকের

0
62

স্টাফ রিপোর্টার

কোরবানি ঈদের পরবর্তীতে পোষার উপযোগী ছোট বাছুর গরুর চাহিদা বেছে। এ সুযোগে গরুর ব্যবসায়ীরা চড়া দাম হাকিয়ে নিচ্ছেন কৃষক ও প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে। গৌ খাদ্যে ও চিকিৎসা ব্যায়ও বেড়েছে। ফলে আগামী মৌসুমে লোকসানের সম্ভাবনার কথা ভাবছেন কৃষকরা। তবুও একবারে কিছু টাকা পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে প্রান্তি খামারি বাছিরন নেছা।

খোকসা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার ৯৯টি গ্রামের ছোট বড় প্রায় দুই হাজার খামারী রয়েছেন। প্রতিটি খামারের ৩টি থেকে শতাধিক গরু পালন করা হয়। সর্বশেষ কোরবানী ঈদে উপজেলা থেকে ফ্রিজিয়ান ক্রস ও দেশী ষাড় জাতের ৫৭৮০ গরু, প্রায় ১৬৬৭২টি ছাগল বাজার জাত করা হয়। যার ৯৫ শতাংশ পশু বিক্রি হয়েছে। এ সব খামারিরা এখন আবার নতুন করে বাছুর গরু কিনছে।

খামারীরা বলছেন, স্থানীয় হাটবাজার গুলোতে সরকারী মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সময় বাছুর গরু কিনে প্রতারিত হয়। এসব প্রান্তিক কৃষকরা গরুর জাত ও রোগবালাই সম্পর্কে বোঝেন না। ফলে ব্যপক হারে ব্যয় করার পরেও তারা ভালো ফল পান না। বাছুরের জাত খারাপ হওয়ায় ওসমানপুর ইউনিয়নের হিজলাবটের খামারী আবু রাশেদ কিরন মেম্বরের ঈদের চালানের ১৬ গরুতে প্রায় লাখ টাকা লোকশান গুনেছেন। তবে শোমসপুর ইউনিয়নের সাতপাখিয়ার বাছিরন নেছার তিন গরুতে আসল থেকে কিছু লাভ পেয়েছেন।

বাছিরন নেছার সাথে কথা হয় উপজেলার গোপগ্রামের শাহজাহান মোড়ের পাশের এক গরুর ব্যাপারীর বাড়িতে। ছেলে সাথে করে বাছুর গরু কিনতে এসেছিলেন। ১৫ বছর ধরে কোরবানির মৌসুমে বিক্রির জন্য গরু পালন করেন। তিনি জানান, গত বছর তিনটি দেশী জাতের বাছুর কিনেছিলেন দেড় লাখ টাকায়। কিন্তু এবছর দুটি বাছুর চাচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার।

তিনি মনে করেন, যে টাকার বছুর কেনা, সেই পরিমান টাকায় খায় এক বছরে। লাভ হয় না। বাড়িতে বসে থাকার সময়ে গরুর পালন হচ্ছে। সব থেকে বড় হচ্ছে এক কলিন কিছু টাকা এক সাথে আসে। ছেলে মেয়ে বিয়ে ঘর তোলা, জমি কট রাখা হয়। এ যা লাভ।

উপসহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা (সম্প্রসারণ) আখতারুজ্জামান বলেন, কৃষকদের ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের গরু লালনের পরামশ্য দেওয়া হয়। অনেক সময় দেশী জাতের গরুর ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে রোগাক্রান্ত ও ভালো জাতের গরু চিনতে ভুল করে অনেক কৃষক বা খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এ ছাড়া বাজার মনিটরিং এর বিষয়ে বলেন, লোকবল সংকটে বাজার মনিটরিং কম হয়। গরুর খাবার চিকিৎসা থেকে শুরু করে সব ধরণের ব্যয় বেড়েছে। এ জন্য লাভটা কম হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন।