দ্রোহ বিনোদন ডেস্ক
মাঝেমধ্যেই নাকি গাঁজা খেতেন সুশান্ত! আগের ফ্ল্যাটে রাত বাড়লেই নাকি শুরু হতো অশরীরীর উপদ্রব। গলায় সবুজ রঙের কুর্তায় ফাঁস লাগানো সুশান্তের নিথর দেহ রাজপুতের পরিচারক নীরজ সিংহ নিজেই নাকি নামিয়ে ছিলেন। এমনই তিন পাতার বয়ান দিয়েছেন মুম্বাই পুলিশকে।
সুশান্ত কা-ে তিনি অন্যতম প্রধান প্রত্যক্ষদর্শী। এই মামলায় নীরজের বয়ান যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা এক বাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন সবাই।
ইতোমধ্যেই সিবিআই তিন বার ডেকে পাঠিয়েছে নীরজকে। কী জানেন নীরজ? কী হয়েছিল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর দিন? কেমন ছিলেন ব্যক্তি সুশান্ত? সুশান্তের বাড়ির পার্টিতে কাদের দেখা যেত? ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে প্রথম কী বলেছিলেন সুশান্তের দিদি মিতু সিংহ?
ইন্ডিয়া টুডে’এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুম্বাই পুলিশকে দেয়া বয়ানে নীরজ বলেছেন, ২০১৯-এর এপ্রিল মাসে তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাড়িতে কাজে যোগদান করেন। কাজ বলতে খাবার পরিবেশন করা, ঘর পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি। কেপ্রি হাইটসের পালি মার্কেট আবাসনে তখন থাকতেন সুশান্ত।
২০১৯সালের ডিসেম্বরে ওই আবাসন থেকে বান্দ্রার এক আবাসনে চলে আসেন সুশান্ত। নীরজের বয়ান অনুযায়ী, সুশান্ত স্যারের আগের ফ্ল্যাটে আমাদের ওয়াকি টকি দেয়া হয়েছিল। স্যারের কিছু প্রয়োজন হলে ওয়াকির মাধ্যমেই কথা বলতাম আমরা। এক রাতে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎই ওয়াকি থেকে একটা আওয়াজ এল, নীরজ লাইট বন্ধ কর। আমি উঠে স্যারের ঘরে গিয়ে দেখি তিনি অঘোরে ঘুমাচ্ছেন। ঘরের লাইটও বন্ধ। আমি কিছু বুঝে উঠতে না পেরে এসে শুয়ে পড়তে যাব ঠিক এমন সময়েই আবার, নীরজ, লাইট বন্ধ কর। সে রাতে আর নাকি ঘুম আসেনি নীরজের।
পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, গভীর রাতে ড্রামের আওয়াজ, লিফটের ওঠানামার শব্দও নাকি পাওয়া যেত সেখানে। আর সেই কারণেই নাকি ফ্ল্যাট পরিবর্তন করেন সুশান্ত।