স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মোটরসাইকে থামিয়ে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। হামাকারীরা তাকে (ইউপি চেয়ারম্যানকে) কুপিয়ে জখম করে। ভেঙ্গে দেয় বাম হাত ও পা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জানিপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া বিহারীয়া গ্রামের মধ্যে ইউপি চেয়ারমান মজিবুর রহমান মজিদের উপর এ হামলা করা হয়। তিনি জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি স্থানীয় ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফজলু মন্ডরে ছেলেনবম শ্রেণির ছাত্র সিফাত আহত হয়। ছাত্র আহতের ঘটনা পূজি করে রাজনৈতিক বিরোধের প্রতিশোধে এই হামলা হতে পারে।
আহত চেয়ারম্যানের ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে পুজি করে স্থানীয় বিএনপির নেতারা পূর্ব দ্ব›েদ্বর জের ধরে প্রতিপক্ষ শামীম গ্রুপ দিনের বেলায় এ হামলা চালিয়েছে। শামীম লাঞ্চিত ছাত্রের চাচা ও স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষক।
আরও পড়ুন – আবু সাঈদের মৃত্যু মাথার আঘাতে নয়: ডা. রজিবুল
তিনি আরও জানান, সকালে চেয়ারম্যান তার মৎস প্রকল্প নাগড়পাড়া বিল থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বিহারিয়া গ্রামের মধ্যে পৌচ্ছালে লা্িচত ছাত্রের মা তাকে দাঁড় করান। এ সময় শামীমের নেতৃত্বে তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চেয়ারম্যানের উপর হামলা করে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে তাকে ফেলে রেখে হামলা কারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুর বিভাগে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়
আহত চেয়ারম্যানের স্ত্রী আফরোজা জানান, সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে মাছ চাষের পুকুরে যাচ্ছিলেন চেয়ারম্যান মজিদ । পথিমধ্যে শেখপাড়া বিহারীয়া গ্রামের সমধ্যে তাকে দাঁড় করানো হয় হামলাকারীরা চেযারম্যানের দুটি পা ও বাম হাত েেঙ্গ পাটিে রাস্তায় ফেলে যা।
তিনি দাবি করেন, ফকির মন্ডলে ছেলে শামীম কাজী, ফজলু মন্ডল (৩৫) ও হাসিব (২৪), রাফাত(২৩) কুদ্দুসের ছেলে সাবু (২৪) তমছেলের ছেলে জনি (২৭) তার স্বামী মজিদের উপর হামলা করে।
অভিযুক্ত শামীম কাজীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি উপজেলা সদরে ছিলেন। চেয়ারম্যান মজিদের উপর এলাকাবাসীর দীঘ ক্ষোভের কারনেই এ হামলা হতে পারে। তিন শুনেছেন সকালে চেয়ারম্যান এক গ্রামবাসীর গায়ের উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দিলে গ্রামবাসী তাকে পিটেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান সোহেল জানান, চেযারমানের মাথার আঘাত গুরুতর। সে কারনেই তাকে রেফার্ড করা হয়েছে। তবে হাত পা কতটকু ক্ষতি হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর যায়েদ জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের উপর প্রতিপক্ষ গ্রæপ হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।