ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমন মহিষ চুরির মামলায় ফেঁসে গেছেন ।
এ ঘটনায় জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্তের জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলার গুড়পাড়া থেকে ১৬ জুন কৃষক নাসির উদ্দীনের দুইটি মহিষ চুরি হয়। এ ঘটনায় কোটচাঁদপুর থানায় ২৬ জুন মামলা করা হয়। পুলিশ কালীগঞ্জ উপজেলার চাচড়া গ্রামের আজগার আলীর ছেলে, সেলিমের বাড়ি থেকে মহিষটি উদ্ধার করে সেলিম আটক করে পুলিশ।
তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। সেখানেই নাম আসে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সুমনের।
আদালতে সেলিম জানান, তিনি চোর নন। মহিষটি শিবনগর গ্রামের মনির হোসেন সুমন এর, একই গ্রামের মিলন, কোটচাঁদপুরের বলুহর গ্রামের ঢালীপাড়ার তরিকুল ও চুয়াডাঙ্গার রশিদ তার কাছে বিক্রি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোটচাঁদপুরের এসআই তৌহিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমরা চুরি হওয়া দুইটি মহিষ উদ্ধার করে মালিককে ফেরৎ দিয়েছি। এই মামলায় কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। বাকী আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন মুঠোফোনে জানান, তিনি কিছুই জানেন না। তবে এ রকম কিছু হলে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানা হামিদ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল জানান, ঘটনা মিথ্যা হলে আমরা সাংগঠনিক ভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আর যদি সঠিক হয় তবে সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
আরও দেখুুন-অনলাইন ক্লাস- একাই একটি দুর্গ (১)
আরও দেখুন-লেখেন গান, বাজান পাতার বাঁশি
তারা আরও জানান, এ বিষয়ে তারা মঙ্গলবার চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।