কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ৫ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে কুমারখালী ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন – দয়রামপুর গ্রামের হাফিজ শেখের স্ত্রী রেহেনা খাতুন (৫৬), তার ছেলে সিদ্দিক হোসেন (৩৫), তার স্ত্রী ববিতা খাতুন (৩০), মিরাজ শেখের ছেলে আকাশ শেখ (১৯), আরমান সরদারের ছেলে জামাল সরদার (৫৫), তার ছেলে আশরাফ (২৭) এবং মৃত জোকি প্রামাণিকের ছেলে খালেক প্রামাণিক (৫৪)।
এ ঘটনায় সিদ্দিকের ভাতিজা শিপন আলী শনিবার সকাল ১০ টার দিকে ৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলায় আশরাফ ও খালেক প্রামাণিককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে পাঁচ শতাংশ জমি নিয়ে জামাল প্রামাণিকের সঙ্গে সিদ্দিক হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনায় সিদ্দিকের করা রেকর্ড সংশোধনী মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। তবুও আদালত রায় দেওয়ার আগে শনিবার সকালে জামাল প্রামাণিক ওই জমিতে ঘর তোলার কাজ শুরু করেন। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন বাঁধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শিপন আলী বলেন, জমির মালিক আমার চাচা। ভুলবশত প্রতিপক্ষের নামে রেকর্ড হয়েছে। এনিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তবুও জামাল লোকজন নিয়ে আজ ঘর তুলছিল। এসময় আমার চাচারা জিজ্ঞেস করতে গেলে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। চাচা, চাচী, চাচাতো ভাইসহ ৪ জন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সুষ্ঠু বিচারের আশায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছি। তার ভাষ্য, জমির মূল্য প্রায় তিন-চার লাখ টাকা।
জানা গেছে, প্রতিপক্ষের জামাল প্রামাণিক কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন – সড়কের পাঁচটি গাছ কেটে নিলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক
সরেজমিন গিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিন লাখ টাকা দিয়ে কেনা জমি। প্রতিপক্ষরা হয়রানিমূলক মামলা করে এর আগে আমার ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। আজ ঘর করতে গেলে তারা বাঁধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমিও থানায় মামলা করব।
আরও পড়ুন – কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫-৭ জন আহতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একপক্ষের মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে অপরপক্ষের মামলাও নেওয়া হবে।