ঝিনাইদহে একমাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত

0
84
প্রতিকী ছবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে বছরের প্রথম মাসে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহতদের বেশির ভাগই অবৈধ যানবাহনের চালক অথবা যাত্রী ছিল।

জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে গুলোতে ছিল মৃত্যুও মিছিল। বছরের প্রথম দিন তেতুলতলা বাজারে রুলি খাতুন নামে এক নারী মটরসাইকেল আরহী নিহত হন। একই দিন মহেশপুরের পদ্মপুকুর নামক স্থানে সড়ক দুটি মটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে লিয়াকত হোসেন ও রিয়াদ মারা যান। পরদিন ২ জানুয়ারি সদর উপজেলার পাঁচ মাইল নামক স্থানে চাচা আলী হোসেন ও ভাতিজা মাহফুজুর রহমান নিহত হন। তারা অবৈধ স্যালো ইঞ্জিন চালিত আলমসাধুযোগে পাট কাঠি আনতে ফরিদপুর যাওয়ার পথে অজ্ঞাত যানবাহন চাপায় নিহত হন। ১৬ জানুয়ারি সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজারে ইব্রাহীম নামে এক শিার্থী নিহত হন। তিনি কুষ্টিয়া থেকে আলমসাধুযোগে হাটগোপালপুরের রাইচারণী কলেজের কাছে পৌছালে একটি ট্রাক তাদের আলমসাধু পেছন থেকে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনায় পতিত হন। ২৩ জানুয়ারি মহেশপুরের ভালাইপুরে আবুল কাশেম, আবুল কালাম ও আলমগীর হোসেন নিহত হন। সিএনজি যোগে যাওয়ার পথে বালু বোঝাই ট্রাক চাপা দিলে সিএনজির তিন যাত্রী নিহত হন। ২৮ জানুয়ারি হরিণাকুন্ডু শহরের কাচারীপাড়ায় আলমসাধু উল্টে চালক বাদশা মারা যান। ২৯ জানুয়ারি শৈলকুপার আসাননগর নামক স্থানে ট্রাক চাপায় রানা নামে এক যুবক নিহত হন। ৩০ জানুয়ারি হরিণাকুন্ডু শহরের দিকনগর গ্রামে নানার পাখিভ্যান চাপায় নাতি রিফাত ও কালীগঞ্জ উপজেলার কেয়াবাগান নামক স্থানে নিজের আলমসাধু উল্টে চালক আশরাফ বিশ^াস নিহত হন।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় নিহত বেশির ভাগ অবৈধ যানবাহনের কারণে মারা গেছেন।

হাইওয়ে পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান জানান, আমরা সড়ক মহাসড়ক অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে প্রতি নিয়ত অভিযান চালাচ্ছি। নসিমন, করিমন, আলমসাধু, ভটভটি ও ইজিবাইক আটক করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তরপারও তাদের থামানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন পুলিশের একার পে অবৈধ যানচলাচল বন্ধ করা সম্ভব নয়। জনগন যদি সচেতন না হয় তবে এই সমস্যা সহসায় সমাধান সম্ভব নয়।