ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলা সদরসহ উপজেলা গুলোতে জানুয়ারি মাসে খুনসহ ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে শৈলকুপায় সব থেকে বেশি খুনের ঘটনা ঘটেছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের অন্তঃদ্ব›দ্ব, সামাজিক দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা হত্যা ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। শৈলকুপার গ্রাম গুলোসহ অন্যান উপজেলার গ্রাম গুলোর মানুষদেও এক অজানা আতঙ্ক তারা করে ফিরছে।
পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী চলতি বছরের প্রথম দিন পহেলা জানুয়ারী শৈলকুপার ভাটবাড়িয়া গ্রামে খুন হয় জসিম উদ্দীন, ৫ জানুয়ারী একই উপজেলার কিত্তিনগর গ্রামে খুন হয় অখিল সরকার, ৮ জানুয়ারী কৃষ্ণনগর গ্রামে খুন হয় আব্দুর রহিম, একই দিন বড়বাড়ি বগুড়া গ্রামে খুন হয় কল্লোল, ১০ জানুয়ারী সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামে খুন হয় আওলাদ হোসেন, ২০ জানুয়ারী সদর উপজেলার বোড়াই গ্রাম থেকে নাজির উদ্দীনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ২২ জানুয়ারী শৈলকুপার সারুটিয়া গ্রামে খুন হয় মেহেদী হাসান সবুজ ও ২৪ জানুয়ারী কালীগঞ্জের পীর আলী নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা জনিত ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
একাধিক নিহতদের স্বজনরা জানান, প্রতিটি হত্যাকান্ডই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ঘটেছে। তারা এসব হত্যার বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ মাসে জেলায় খুনসহ ২৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়। কিন্তু চলতি বছর শুরুর প্রথম মাসে খুনসহ ১২ জনের লাশ উদ্ধার কা হয়েছে।