ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
শেষ হয়ে যাচ্ছে আষাঢ় মাস, অথচ বৃষ্টি নেই। পানির অভাবে আমন আবাদি কৃষকরা এখনো বীজ তলায় তৈরী করতে পারনি। ফলে আমন ধান আবাদের লক্ষমাত্রা অর্জত হওয়া নিয়ে খোদ কৃষি বিভাগ শঙ্কায় পরেছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন আমন আবাদ মৌসূমে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় এক লাখ ছয় হাজার ৮৩৮ হেক্টর জমি চাষের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য প্রায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার হেক্টর বীজ তলায় বীজ আবাদের কথা ছিল। ইতোমধ্যে এসব কৃষরা সরকারী বেসরকারী ও ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন প্রজাতের বীজ ধান সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু ভরা আষাঢ়ে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। মাঠ-ঘাট চৈত্রের দাবদাহে পুড়ছে। ফলে কৃষকরা প্রাকৃতিক পানিতে বীজ তলায় তৈরী করতে পারেনি। উচ্চমুল্যের ডিজেল কিনে বীজতলা তৈরী করতে হচ্ছে কৃষকদের। ফলে সেচ খরচ বৃদ্ধি পেয়ে ধানের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে, অন্যদিকে আমন উৎপাদনের ল্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিতে পারে।
আরো পড়ুন – ঝিনাইদহে ছেলের হামলায় বাবার মৃত্যু
সাধুহাটীর বংকিরা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান জানান, বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরী করতে হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আজগর আলী জানান, ভরা আষাঢ়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের ধান আবাদ খরচ বেড়ে যাবে। তাছাড়া অনেক কৃষক এখনো বীজতলা দিতে পারেনি। কারন আমন আবাদ আষাঢ়ের বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল।