ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ জেলা শহরে বছর দুয়েক ধরে ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারগুলো লাইসেন্স নবায়ন না করেই চলছে। আবার কিছু ক্লিনিকের তো লাইসেন্সই নেই।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা পর্যায়ের ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসার নামে অহরহ চলছে অপচিকিৎসা। ডাক্তারের অবহেলায় প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসার উন্নত পরিবেশ নেই বললেই চলে। ১০ শয্যার পরিবর্তে শয্যা বাড়িয়ে ৫০/৬০ জন করে রোগী ভর্তি করা হয়। নীতিমালা ভঙ্গ করার পরও এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার নতুন লাইসেন্স পাচ্ছে। পুরাতন লাইসেন্সও নবায়ন করছে তারা।
জেলা শহরে সাত দিনের ব্যবধানে হরিণাকুন্ডু ও মহেশপুরে চার ক্লিনিকে চারজন প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয় নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তার ফলাফল এখনো দৃশ্যমান নয়।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মোতাবেক জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় মোট ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের সংখ্যা ১৭০টি। এর মধ্যে ক্লিনিক রয়েছে ৮১টি।
সুত্রমতে কোটচাঁদপুরের একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন আছে। বাকী ১৬৯টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। এছাড়া ৮৯টি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের কোনটার লাইসেন্স ২০১৮ সাল থেকে নবায়ন করা হয়নি। সবগুলোর লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়াধীন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসার জন্য অনুপযোগী ক্লিনিক গুলোর কাগজপত্র ঠিক করেন।
আরও পড়ুন-আমার বেটা ষোলডা বছর বাড়ি আসে না
আরও পড়ুন-আজ ভয়াল একুশে আগস্ট
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম এ ব্যাপারে জানান, জেলার কোন ক্লিনিকের এখন লাইসেন্স নেই। সবগুলো নবায়নের জন্য অপেক্ষমান। তিনি আরও বলেন, এখন অনলাইনে সরাসরি আবেদন নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে যে সব ক্লিনিকের রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে আমরা সেগুলো প্রেরণ করছি। তিনি বলেন, ২৩ আগষ্টের মধ্যে সবার নবায়ন না হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।