ঝিনাইদহে শিশুদের নিউমোনিয়া প্রকোপ বেড়েছে

0
135

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ সদরসহ উপজেলা গুলোতে শিশুদের নিউমনিয়া ও অন্যান্য রোগের প্রকোপ বেড়েছে। শুধু সদর হাসপাতাল ভর্তি রয়েছে দেড়’শ শিশু। হাসপাতাল গুলোর ধারণ ক্ষমতার ৫ গুন বেশী শিশুরোগী ভর্তি রয়েছে। ফলে শিশুরোগীদের বারান্দা ও ফোরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি সময়ে জেলায় প্রতিটি উপজেলাতে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, জ্বরসহ শ্বাসতন্ত্রের রোগের প্রকোপ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন সদর হাসপাতালে ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। রোগাক্রান্ত শিশুদের শয্যা আর জনবল সংকটে বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।

শনিবার বিকালে সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শিশুদের হাসপাতালের কগুলোর মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে শিশুরোগীদের জন্য ৪০টি শয্যা বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে প্রায় ১৪০ জন শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে। গত অক্টোবর মাসে সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ার সাথে অন্যান্য সমস্যায় ২ টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শিশু রোগীদের ৭০ শতাংশ নিউমোনিয়া, জ¦রসহ শ^াসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত। এ অবস্থা শুধু সদর হাসপাতানে নয়, সরকারি শিশু হাসপাতালসহ স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোতেও বেড়েছে শিশু রোগীর চাপ।

হাটগোপালপুর এলাকার এক শিশুর পিতা মশিয়ার রহমান জানান, রোগাক্রান্ত সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। কিন্তু কোন বেড খালী নেই। তাই কোন উপায়ন্ত না পেয়ে অবশেষে হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা করাচ্ছেন।

সুফিয়া খাতুন নামের একজন স্টাফ নার্স জানান, হাসপাতালে কম সংখ্যক জনবল নিয়ে এত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও সাধ্যমত চেষ্টা করছেন।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (শিশু ওয়ার্ড) ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচাতে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

মাগুরা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্য ডাক্তার অলোক সাহা বলেন, শীত বাড়লে শিশুদের নানা ধরনের রোগ হতে পারে। সেই জন্য শিশুদেরকে সব সময় গরম কাপড় পরাতে হবে। রাতে পারলে রুম হিটার ব্যাবহার করতে হবে বা শিশুকে কাপড় দিয়ে হাত-পা ও পাথা ভাল করে ঢেকে রাখতে হবে। তাহলে শিশুরা রোগ থেকে নিরাপদে থাকবে।