ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপার কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির জন্য নীতিমালা বহির্ভুত ত্রুটিপুর্ন কাগজ পাঠানো এবং দূর্নীতিপূর্ণ এই কাজে বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং মাধ্যমিক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার অবৈধ লেনদেনসহ পরস্পরের যোগসূত্রের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিত এক অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শপ এ্যসিসটেন্ট পদে প্রথম নিয়োগ পান আতিকুর রহমান ডাবলু অথচ তাকে বাদ দিয়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে লুৎফর রহমান এবং একই পদে গিয়াস উদ্দীনকে এমপিও ভুক্তির জন্য সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়েছে।
নদী ভাঙ্গন – আশ্রয়হীন হচ্ছে খোকসার ৩০ ছিন্নমূল পরিবার
জানা যায় লুৎফর রহমানের বয়স নিয়োগকালীন সময়ে ১৮ বছর ছিল না। অন্যদিকে গিয়াস উদ্দীনের জাল সনদ ও বয়স না হওয়ার পরও তাকে এমপিও ভুক্তির সুপারিশ করায় বৈধ ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত আতিকুর রহমান ডাবলু অবিচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের জনবল কাঠামোতে একটি স্কুলের কারীগরি শাখায় দুইটি শপ, ল্যাব বা কম্পিউটার ল্যাব এ্যসিসট্যন্ট পদে নিয়োগ করা যাবে। সে হিসেবে কবিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আতিকুর রহমান ডাবলু ও লুৎফর রহমানের নিয়োগ পর্যন্ত বৈধ ছিল। পরে অর্থের বিনিময়ে ল্যাব এ্যসিসটেন্ট পদে গিয়াস উদ্দীনকে নিয়োগ দিয়েছে কমিটি, যা জনবল নীতিমালা বর্হিভুত।
আরও দেখুন- খোকসায় ২৫ বাচ্চাসহ মা গোখরা আটক
গিয়াস উদ্দীনের নিয়োগের টেবুলেশন সিটে রয়েছে কাটাকাটি। সেই সিটে নেই শৈলকূপা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাক্ষরও।
অপরদিকে ২০২০ সালের ১৩ মে কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর এক অফিস আদেশে লুৎফর রহমান ও গিয়াস উদ্দীনের কাগজপত্র ত্রুটিপূর্ণ পেয়েছে বলে ফেরৎ পাঠানো হয়। একই আদেশে জেলা শিক্ষা অফিসারকে যাচায়ের জন্য বলা হলেও তিনি তা না করে আবোরো একই ত্রুটিপুর্ন কাগজ কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন।
এ সকল বিষয়ে স্কুলের সভাপতি তৈয়ব খান বলেন, এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠাতে কোন প্রকার ভুল হয়নি। যদি ভুল থাকেও তবে সেটা কারিগরী শিক্ষা অধিদপ্তর দেখবেন। তিনি আরও বলেন আতিকুর রহমান ডাবলু অন্য ট্রেডে নিয়োগপ্রাপ্ত। সে কারণে তার এমপিও ভুক্তির আবেদন করা হয়নি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, আমি স্কুল সভাপতির বাইরে যেতে পারি না। তিনি যা নির্দেশ করেছেন আমি সেটাই করতে বাধ্য হয়েছি।
জেলা শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব তার বিরুদ্ধের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছি কেও তা প্রমান দিতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও ভুক্তির কাগজ পাঠানো হয়েছে তা সবই আইন মেনে পাঠানো হয়েছে। বিভ্রান্তিমূলক ও অপপ্রচার চালানোর জন্য একটি মহল এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বলে জানান।