দৌলতপুরে শিক্ষকের আত্মহত্যা, ১১ দিন পর সুইসাইড নোট উদ্ধার

0
121
শিক্ষক জহুরুল ইসলাম

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের আত্মহত্যাকারী কলেজ শিক্ষকের ট্রাউজারের পকেট থেকে ১১ দিন পর আবেগঘন সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পরিবার।

মৃত্যুর সময় কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের পরনে থাকা ট্রাউজার টি পরিস্কার করার জন্য শুক্রবার (২০ আগষ্ট) বের করা হয়। আর সেখানেই মেলে এই সুইসাইড নোটটি। নুরুজ্জামান ডিগ্রী কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক জহুরুল ইসলাম এই সুইসাইড নোট লিখে রেখে আত্মহননের পথ বেঁছে নেন বলে দাবি পরিবারের।

‘বউয়ের দ্বারা এত অপমান সহ্য করে তার মত মহিলার সাথে সংসার করা সম্ভব হলো না। তাপুর স্বামীর দরকার নাই, সে চায় বাড়ী আমি তাদের সবকিছু দিলাম, শেষ পর্যন্ত আমার জীবনটাও দিলাম, স্বামীর প্রতি নুন্যতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে তার সাথে কিসের সংসার। আমার মৃত্যুর জন্য তাপু ও তার পরিবার দায়ী’।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আল্লারদর্গা হাইস্কুল সংলগ্ন নিজ বাড়ি থেকে কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জহুরুল ইসলাম আল্লারদর্গা নুরুজ্জামান বিশ্বাস কলেজের ভূগোল বিভাগের শিক্ষক এবং দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের আলমাতলা গ্রামের মৃত পলান মন্ডলের ছেলে।

পারিবারিক সূত্র জানা গেছে, আল্লারদর্গা হাইস্কুলের পিছনে নবনির্মিত একতলা একটি বাড়ি নিজ নামে লিখে নেওয়ার জন্য শিক্ষক জহুরুল ইসলামের স্ত্রী ছাবিনা ইয়াসমিন তাপু বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছিলেন। এ নিয়ে মৃত্যুর কয়েকদিন আগে সালিশ বিচারও হয়। সবকিছু মেনে নিয়ে জহুরুল ইসলাম সংসার করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। সালিশ করে তাদের পারিবারিক কলোহ মিমাংসা করা হলেও এর এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই আত্মহননের পথ বেঁছে নেন শিক্ষক জহুরুল ইসলাম। এ ঘটনায় দৌলতপুর থানায় শিক্ষক জহুরুল ইসলামের ছোট ভাই আহাদ আলী নয়ন একটি মামলাও দায়ের করেছেন।