দৌলতপুরে শিশুসহ ১০ জন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত

0
91

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অসুস্থ গরুর মাংস খেয়ে শিশুসহ ১০জন অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তরা নিজ নিজ বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে কোন খবর নেই।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে রহিম হোসেন একটি অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করে। ওই গরুর মাংস খাওয়ার পর গ্রামের ফকির মন্ডলের ছেলে সজিব (২৫), সিরাজুল ইসলামের ছেলে নমাজ (২৮), নয়ন আলীর ছেলে রমজান আলী (৪৮) মতিয়ার রহমানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন (৪৫), মনিরুল ইসলামের স্ত্রী সুজিনা খাতুন (৪০), মৃত শাহ মোহাম্মদের ছেলে বাবুল হোসেন (৬৭) ও ডাবলুর শিশু ছেলে সাব্বির (১৩) সহ অনন্ত ১০জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় তাদের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে তের সৃষ্টি হয়। আক্রান্তরা স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে গেলে তারা অ্যানথ্রাক্স রোগ আক্রান্ত বলে চিকিৎসক জানায়।

সজিব জানান, অসুস্থ্য গরুর মাংস খাওয়ার দু’একদিন পর তার হাতে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফোসকার সৃষ্টি হয়। পরে ক্ষতে পরিণত হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল মালেক জানান, গোপালপুর গ্রামে কিছু গরু অ্যানথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়েছেন। আসলে অ্যানথ্রাক্স কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রন্ত পশুর স্যাম্পল ল্যাবটেষ্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল ইসলাম তুহিন বলেন, অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর পান নি। হাসপাতলেও কোন রোগের চিকিৎসা নিতে আসেন নি।