দৌলতপুর প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অবৈধ ১১ টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মোট ৬৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবু হাসানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত এই অভিযান পরিচালিত করে। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে সহকারী পরিচালক কমল কুমার বর্মণ ও র্যাব -১২ এর কুষ্টিয়ার অধিনায়ক মেজর গাফ্ফারুজ্জামান উপষ্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও সরকারের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনা করার দায়ে ও কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর বিভিন্ন ধারায় দৌলতপুরের রিফায়েতপুর এলাকার বি.এইচ.এন ব্রিকসের মালিক আসাদুজ্জামানকে ৭ লাখ টাকা, এম.বি.এন বিব্রকসের মালিক ঝুমুর আলীকে ৭ লাখ টাকা, নারায়ণপুরের এ.বি.সি ব্রিকসের মালিক আব্দুস সালামকে ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা, দৌলতপুরের এবিসি ব্রিকসের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক কে ৬ লাখ টাকা, দৌলতপুর হাসপাতাল রোডে এ.এম.বি ব্রিকসের মালিক হাজী ইয়াসিন আলিকে ৮ লাখ টাকা, ডাংমড়কা এলাকার এম.আর.এন ব্রিকসের মালিক মোফাজ্জল হককে ৮ লাখ টাকা, সাদীপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের এ এল এল সি ব্রিকস ও এল এল বি ব্রিকসকে ১০ লাখ টাকা, ডাংমড়কা এলাকার পলাশ হোসেনের মালিকানাধীন এনবিএল ব্রিকসকে ৮ লাখ, একই এলাকার শরিফুল ইসলামের মালিকানাধীন এইচএলবি ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা ও ডাংমড়কা এলাকার বি.এস.বি ব্রিকসের মালিক জাহাঙ্গীর হোসেনকে ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এ সময় অবৈধ এসব ইটভাটার অংশ বিশেষ ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
কুষ্টিয়ার অধিনায়ক মেজর গাফ্ফারুজ্জামান বলেন, সরকারের কোন অনুমতি ছাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ইটভাটাগুলো অবৈধভাবে চালিয়ে আসছে। এতে পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে। সরকারের অনুমতি ছাড়া কোন ভাটাকেই চলতে দেয়া হবে না। এই অভিযান চলমান থাকবে। পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালানো হবে।