দৌলতপুর সীমান্তে করোনা সংক্রমন বৃদ্ধির শঙ্কা

0
142

দৌলতপুর প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে যাতায়াতের ফলে সীমান্ত এলাকায় করোনা রোগি সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। তবে সীমান্তরক্ষী বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।

সীমান্ত এলাকা ঘুরে জানা গেছে, গত ২০ দিনে দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন পাকুড়িয়া ভাঙাপাড়ার ইছাহক আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (৩০), মুন্সিগঞ্জের শুকুর আলীর ছেলে মতিউর রহমান মতি (২৭), মহিষকুন্ডি মাঠপাড়ার আসাদের ছেলে কালু (২৬) ও শাজাহানের ছেলে লিটন (২৫) সহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী গোপানে ভারত থেকে অবৈধভাবে চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।

গত ২১মে ভারতের কেরালা থেকে চোরাপথে বাংলাদেশে প্রবেশকালে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর সীমান্ত থেকে বিদুছ মন্ডল (৪০) নামে এক বাংলাদেশীকে আটক করে তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা দিয়ে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করেছে রামকৃষ্ণপুর বিওপি’র বিজিবি। সে ভাগজোত এলাকার কাওছার মন্ডলের ছেলে।

দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে চোরাপথে অবৈধভাবে ভারত থেকে দেশে ফেরার পাশাপাশি অনুপ্রবেশের খবর রয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত রোগির সংখ্যা বাড়লেও এখানকার মানুষের মধ্যে তেমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না অনেকেই। আবার এ ব্যাপারে প্রশাসনের বাড়তি কোন পদক্ষেপ বা নজরদারিও চোখে পড়ছে না।

গোপনে চোরাপথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের বিষয়ে সীমান্ত সংলগ্ন রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, চোরাপথে অবাঁধে ভারত ও বাংলাদেশীদের যাতায়াতের সুযোগ নেই। কেউ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে জন্য প্রশাসনের পাশাপাশি তারাও সজাগ রয়েছে। তবে মাদক চোরাকারবারীদের অবাঁধ যাতায়াত ও মাদক পাচার কারবার আগের মতই চলমান আছে।

ভারত সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা হিসেবে করোনা প্রতিরোধে বাড়তি কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব বলেন, সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তের ১৪টি বিজিবির বিওপির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে তাদের প্রয়োজনীয় নিেের্দশনা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে ভারত সীমান্ত লাগোয়া দৌলতপুর উপজেলা হওয়ার কারনে কুষ্টিয়া জেলায় ঈদের পর থেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। জেলায় নমুনা পরীক্ষায় সনাক্তের হারও বেড়েছে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভারত ফেরতদের মধ্যে ৩ জন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা খারাপ, তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো শরীরে করোনার ভারতীয় ধরণ সনাক্ত হয়নি। এছাড়া এসব নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষা এখনো হয়নি। তিনি আরো বলেন, ঈদের সময় মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মেলামেশা করায় স¤প্রতি আক্রান্তের হার বেড়েছে। সিভিল সার্জন বলেন, ১০ দিন আগে নমুনায় পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ছিল ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে। সেটি এখন ১৩ থেকে ১৬ শতাংশে ঠেকেছে।

দৌলতপুর থানার ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে।