নতুন বছরে সরকারকে সরানোর শপথ ফখরুলের

0
138
BNP-DROHO-30-P2

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে সরানোর শপথ করলেন।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, এ বছর শেষ হচ্ছে। আসুন নতুন বছরে আমাদের সবার একটাই শপথ হোক ক্ষমতাসীন সরকারকে সরানোর।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালন করছে বিএনপি। দিনটি উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। মহানগরসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দানবীয় সরকার, এই স্বৈরতান্ত্রিক সরকার, একনায়কতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করব। আসুন সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই।

এসময় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিও জানান বিএনপি মহাসচিব।

সমাবেশকে ঘিরে সকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সমাবেশস্থলে আসার পথে বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটার শিকার হন।

এ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, খুব দুঃখ হয়, লজ্জা হয় যখন দেখি সমাবেশ আসতে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের বাধা দেয়া হচ্ছে। যখন দেখি সমাবেশকে কেন্দ্র করে অসংখ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আর লজ্জা হয় যখন দেখি এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, তারা গণতন্ত্র দিয়েছেন বলেই নাকি দেশ খুব ভালো চলছে।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে, তারা আমাদের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে এবং বাংলাদেশে একটা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমান সরকার গোটা দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে। এই সরকার বাংলাদেশের মানুষকে শ্বাসরুদ্ধ করে একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই অবস্থা থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে, সমগ্র মানুষকে মুক্ত করতে হবে।

বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে বাধ্য করতে হবে এই সরকারকে সরে যেতে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে তাদের অধীনে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করাতে।

সমাবেশে নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এই কমিশন সারাদিন মিথ্যা কথা বলে, যে কথাগুলো শুনলে লোকে হাসে। এখন নাকি খুব সুন্দর নির্বাচন হচ্ছে, চমৎকার নির্বাচন হচ্ছে। যেখানে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে না মানুষ, ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করে। একখানে দিলে আরেকখানে ভোট পড়ে। ধানের শীষে ভোট দিলে নৌকায় গিয়ে পড়ে- এই অবস্থা তারা তৈরি করেছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- মহানগর দক্ষিণের সভাপতি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম নকির পরিচালনায় সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, আমিনুল হক, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।